বাবুল হক, মালদহ: এক টুকরো প্লাইউড আর সামান্য সেলোটেপ ব্যবহার করেই এটিএম থেকে টাকা চুরি। বাংলায় ঢুকে ফাঁদ পেতে এমনই অভিনব কারবার শুরু করে পুলিশের জালে বিহারের দুই দুষ্কৃতী। সিসি ক্যামেরার সূত্র ধরে গ্রেপ্তার অভিযুক্তরা।
ইংরেজবাজার থানার পুলিশ জানায়, এটিএমের যে মুখটি দিয়ে টাকা বেরিয়ে আসে, সেই মুখের কিছুটা ভিতরে সামান্য প্লাইউড ঢুকিয়ে সেলোটেপ সেঁটে দিয়েই চুরি করেছে দুষ্কৃতীরা। এটিএম কাউন্টারে ঢুকে ওই ধরনের কাজটি করে রীতিমতো ফাঁদ পেতে বাইরে বেরিয়ে আসে দুষ্কৃতীরা। ওই এটিএম কাউন্টারে যিনিই টাকা তুলতে ঢুকছেন, তিনিই প্রতারিত হচ্ছেন। মোবাইলে টাকা তোলার মেসেজও ঢুকে যাচ্ছে। অথচ এটিএম থেকে টাকা বেরিয়ে আসে না। তদন্তকারীদের ধৃতরা জেরায় জানায়, তারা প্লাইউড আর সেলোটেপ ব্যবহার করে মেশিনের টাকা বেরনোর মুখ এমনভাবে বন্ধ করে দিচ্ছে যে তা বেরিয়ে না এলেও একটি বাক্সে জমা হচ্ছে। অর্থাৎ ক্যাশ ডিসপেনসার ব্লক করে দেওয়া হচ্ছে বলেই এটা ঘটছে। বেশ কয়েকজন গ্রাহক টাকা না পেয়ে ফিরে যেতেই দুষ্কৃতীরা আবার এটিএম কাউন্টারে ঢুকে পড়ছে। এবং একটি বিশেষ চাবি ব্যবহার করে বাক্স খুলে সেই আটকে থাকা টাকাগুলি বের করে চম্পট দিচ্ছে।
এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মালদহের ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ইরফান খান ও আবরাজ খান নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা বিহারের গয়ার ফতেপুর থানা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ শহরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের ম্যানেজার তাঁদের এটিএম কাউন্টারের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এমনই ঘটনা সন্দেহ করে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই ফুটেজেই ধৃত দুজনকে প্রায় এক ঘন্টার ব্যবধানে এটিএম কাউন্টারে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল। সেই ফাঁকেই বেশ কয়েকজন গ্রাহক প্রতারিত হন। পুলিশ তদন্তে নেমে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। সেলোটেপ, প্লাইউড, চাবি এবং এটিএম থেকে চুরি যাওয়া নগদ কিছু টাকা বাজেয়াপ্ত করে। মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। চক্রের অন্যান্য পাণ্ডাদের খোঁজ চলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.