সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোজ রাতেই মদ খেয়ে বাড়ি ফিরতেন স্বামী। বেধড়ক মারধরও করতেন। দিনের পর দিন স্বামীর এই অত্যাচার অসহ্য হয়ে উঠেছিল। সেই রাগেই ঘুমন্ত স্বামীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। পরে পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণও করে ওই মহিলা। দুর্গাপুরের পাণ্ডবেশ্বরের ঘটনা। অভিযুক্ত বধূ লিপিকা দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জখম শঙ্কর দাস আপাতত বিপদমুক্ত।
টাকার লোভে দত্তক নেওয়া সন্তানকে খুন করাল দম্পতি!
পাণ্ডবেশ্বরের রেলপাড় ঝুপড়িপাড়ার বাসিন্দা শঙ্কর দাস বেসরকারি বাসের কন্ডাক্টর। পুলিশের কাছে লিপিকা জানায়, প্রতিদিন রাতেই মদ খেয়ে বাড়ি ফেরেন শঙ্কর। ঘরে ঢুকেই অকারণে তার সঙ্গে ঝগড়া শুরু করেন। প্রতিবাদ করলে গায়ে হাত পর্যন্ত তোলেন। সোমবার রাতে বিবাদ চরমে ওঠে। অভিযোগ, রাত ১২টা নাগাদ শঙ্কর ঘুমিয়ে পড়ার পর স্বামীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় লিপিকা। ঘরের দরজা বাইরে থেকে লাগিয়ে ঘুমন্ত ছেলেকে নিয়ে পাণ্ডবেশ্বর থানায় হাজির হয় সে।
এদিকে ভাইয়ের চিৎকার শুনে ছুটে আসেন শঙ্করের দিদি সন্ধ্যা। পাশেই তাঁর শ্বশুরবাড়ি। এসে দেখেন দাউ দাউ করে জ্বলছেন শঙ্কর। ছুটে আসেন প্রতিবেশিরাও। তারাই কম্বল চাপা দিয়ে আগুন নেভান। নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শঙ্করের মুখের অনেকটা অংশ পুড়ে গিয়েছে। তবে অবস্থা স্থিতিশীল। লিপিকার অভিযোগ, মদ খেয়ে এসে স্বামীর মারধরের কথা বহুবার শ্বশুরবাড়িতে জানিয়েছে। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। যদিও শঙ্করের দিদি সন্ধ্যা জানান, সমস্যা যে এতটা গুরুতর তা তাঁরা বুঝতে পারেননি।
রোগীমৃত্যুর জের, সিএমআরআই হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.