রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রাজ্যের সঙ্গে বারবার সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। কখনও শিক্ষাক্ষেত্রে অনিয়ম আবার কখনও প্রশাসনিক কার্যকলাপে বিরক্ত হয়ে টুইট করেছেন তিনি। করোনা পরিস্থিতিতে দু’পক্ষের সংঘাতের শেষ নেই। নবান্ন ও রাজভবনের মাঝে কখনও টুইট আবার কখনও বা পত্রবোমায় বেশিরভাগ সময় উত্তপ্ত থাকে রাজনৈতিক আবহ। এবার বিজেপির ভারচুয়াল সভাতেও রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্কের প্রসঙ্গ উঠে এল।
দু’পক্ষের সম্পর্ক ভাল না হওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই (Mamata Banerjee) দায়ী করলেন কেন্দ্রের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল (Arjun Ram Meghwal) । তিনি বলেন, “সংবিধান বিরোধী কাজ করছেন মুখ্যমন্ত্রী। সংবিধান প্রণেতারাও ভাবেননি এমন হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল নেত্রী হিসাবে কাজ করছেন। ২০২১ সালে বাংলায় বিজেপির সরকার আসবেই।”
বিজেপির পঞ্চম ভারচুয়াল সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়ও (Babul Supriyo)। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় তিনিও বাংলার সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁরও আশা, আগামী ২০২১ সালের নির্বাচনের পর পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। বাংলার মানুষের মনে এখন শুধু বিজেপিই রয়েছে বলেও জানান আসানসোলের বিজেপি সাংসদ।
এদিকে, মুরলিধর সেন লেনে বিজেপির সদর দপ্তরের উলটো দিকের গলির একটি বাড়িতে হানা দিয়েছে করোনা। তারপর থেকে মারণ ভাইরাসের আতঙ্কে কাঁটা গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীরা। সুরক্ষার স্বার্থে সোমবার থেকে নেতা-কর্মীদের আনাগোনা প্রায় বন্ধ। যদিও মঙ্গলবার ভারচুয়াল সভায় সদর দপ্তর থেকেই অংশ নেন রাজ্য বিজেপি নেতাদের একাংশ। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা, সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, রাজ্য সহ সভাপতি রাজকুমার পাঠক-সহ বেশ কয়েকজন। রাহুল সিনহাও (Rahul Sinha) এদিনের মঞ্চ থেকে ৮ মাস পর তৃণমূলের অপশাসনের হাত থেকে রাজ্যকে মুক্ত করার বার্তা দেন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের দাবিকে সিলমোহর দিয়ে তিনিও জানান, পরিযায়ী শ্রমিকদের তালিকা কেন্দ্রকে পাঠায়নি রাজ্য। তাই অসহায় মানুষেরা বঞ্চিত হয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.