মণিরুল ইসলাম, শ্যামপুর: পঞ্চম দফার লকডাউন শুরু হচ্ছে দেশের সংক্রমিত এলাকায়। দেশের অন্যত্র সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে শর্তসাপেক্ষে দোকানপাট, হোটেল-সহ নানা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দিয়েছে। যদিও বন্ধ থাকছে রেল। অর্থনীতি চাঙ্গা করার সরকারি এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানালেন বাম পরিষদীয় দলের নেতা তথা বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, ”অপরিকল্পিত এই ‘Unlcok1’। এতে সাধারণ মানুষ বিপদে পড়বেন।” রবিবার আমফান বিধ্বস্ত হাওড়ার শ্যামপুর এলাকার বিভিন্ন গ্রাম যৌথভাবে পরিদর্শন করেন সুজন চক্রবর্তী, আবদুল মান্নানরা। সেখান থেকেই সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে এই মন্তব্য সিপিএম বিধায়কের।
সুজন চক্রবর্তী প্রশ্ন তোলেন, লকডাউনের পর যে কেন্দ্রীয় সরকার আনলক ওয়ান ঘোষণা করে কর্মক্ষেত্র খুলে দিতে চাইছে, তাতে শ্রমিকদের থাকা বা আসা-যাওয়ার কী ব্যবস্থা করা হচ্ছে? রাজ্য বা কেন্দ্র – কোনও সরকারই এর সঠিক ব্যবস্থা না করে পরীক্ষামূলকভাবে সবটা করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ”এক্সপেরিমেন্টের জন্য গরিব মানুষদের বিপাকে ফেলা উচিত নয় কোনওভাবেই।”
শ্যামপুরের বারগ্রাম, ডিঙাখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন জায়গা তছনছ হয়ে গিয়েছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফানের দাপটে। রবিবার সেসব এলাকা ঘুরে দেখে, ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী, বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। সঙ্গে ছিলেন আমতার বিধায়ক অসিত মিত্র, কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী, হাওড়া জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি সেখ সফিকুল ইসলাম, বাম নেতা সাবিরুদ্দিন মোল্লা। এদিন অবশ্য বিভিন্ন জায়গায় শতাধিক বাম কংগ্রেস কর্মী সমর্থক থাকলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় ছিল না। মাস্কও ছিল না সিংহভাগ লোকের মুখে।
তবে হাওড়ার দুর্গত এলাকায় বাম-কংগ্রেসের এই যৌথ পরিদর্শন ও সরকারের ভূমিকাকে কটাক্ষ করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। হাওড়া গ্রামীণ এলাকার তৃণমূল সভাপতি পুলক রায় বলেন, ”আমরা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ত্রিপল-সহ ত্রাণ দিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছি। আর দুর্যোগের ১২ দিন পর জগাই-মাধাই নাটক করতে এসেছেন। আগামী নির্বাচনে ওদের মাইক্রোস্কোপ দিয়ে দেখতে হবে। সেই ব্যবস্থা মানুষ করে দেবেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.