ধৃতের নাম বিক্রম রায়। নিজস্ব চিত্র।
জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বঙ্গ বিজেপি নেতার জঙ্গি যোগ! যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এটিএসের হাতে ধৃত গেরুয়া শিবিরের যুব নেতা। সোমবার উত্তর ২৪ পরগনা বাগদায় অভিযান চালায় অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াড বা সন্ত্রাস দমন শাখা। জঙ্গিযোগে বাগদার যুব বিজেপির সাধারণ সম্পাদককে গ্রেপ্তার করে তারা। তিনদিনের ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁকে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম বিক্রম রায়। পেশায় টোটো চালক। সোমবার বিকেলে তাঁকে বাগদার গাঙ্গুলিয়া থেকে ধরা হয়। বিক্রম বাগদার যুব বিজেপির সাধারণ সম্পাদক। সূত্রের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগও রয়েছে। তবে নাশকতামূলক কার্যকলাপেও তাঁর নাম জড়িয়েছে বলে খবর। সেই সূত্রে উত্তরপ্রদেশের এটিএস বিক্রমকে গ্রেপ্তার করেছে। আজই তাঁকে আদালতে তোলা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশে একটি মানব পাচারের ঘটনায় তদন্ত নেমে পুলিশ বিক্রমের নাম পেয়েছিল। পরবর্তী সময়ে আদালতে তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। এর পরেই তাকে ধরতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ বাগদায় আসে | বাগদা থানা পুলিশের সহযোগিতায় এদিন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আরও দাবি, টাকার বিনিময়ে তিনি বাংলাদেশ থেকে লোকজনকে এদেশে নিয়ে আসতেন। টাকার বিনিময়ে ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে তাদের কাছে বিক্রি করতেন। বিক্রমের সঙ্গে কোন জঙ্গি সংগঠনের যোগ আছে কিনা পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে |
গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “এরা প্রচুর রোহিঙ্গাদের দেশে ঢুকিয়ে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড করে দিয়েছে। দেশবিরোধী কাজ করছে। আর এদেরই দলের দায়িত্বপূর্ণে পদে বসাচ্ছে বিজেপি।” পালটা দিয়েছে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডল। তাঁর কথায়, “বিক্রম গরিব ঘরের ছেলে। টোটো চালায়। কোনও যাত্রী হয়তো ধরা পড়েছে। তার সঙ্গে ওর ফোনে কথা হয়েছিল। সেই সূত্রেই ওকে নিয়ে যাচ্ছে।” তাঁর আরও দাবি, “বিনা দোষে কোনও গরিব ঘরের ছেলেকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। তবে যদি দোষ প্রমাণিত হয়, তবে আইন আইনের পথে চলবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.