ছবি: সুশান্ত পাল
নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ব্যস্ত স্টেশনে সর্বক্ষণ মোতায়েন থাকে রেলপুলিশ। কিন্তু, তাঁদের নজরে পড়েনি। খবর পাননি স্টেশন মাস্টার। তিনদিন ধরে প্ল্যাটফর্মেই পড়ে রইলেন এক বৃদ্ধা। শেষপর্যন্ত, এক যাত্রীর তৎপরতায় হাসপাতালে ভরতি করা হল তাঁকে। অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাট স্টেশনে। রেলের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, তারাপীঠ যাওয়ার পথে রামপুরহাটে স্টেশনে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকেই। কিন্তু, সেদিকে নজর দেয়নি রেল কর্তৃপক্ষ। রামপুরহাট স্টেশনের স্টেশন মাস্টারও স্বীকার করেছেন, ঘটনাটি রেলপুলিশের নজরে আসা উচিত ছিল।
[উদয়পুর সৈকতে বাংলার সীমানা ‘দখল’, রাজ্যের ফলক ভাঙল ওড়িশা সরকার]
এ রাজ্যের জনপ্রিয় তীর্থক্ষেত্র বীরভূমের তারাপীঠ। কিন্তু, রেলপথে কোনও স্টেশন নেই। তাই রামপুরহাট স্টেশনে নেমে তারাপীঠে যান ভক্তেরা। আবার এই স্টেশন পেরিয়েই হাওড়া কিংবা শিয়ালদহ থেকে উত্তরবঙ্গগামী দূরপাল্লা ট্রেনগুলি চলে। ফলে যাত্রীদের আনাগোনা লেগেই থাকে বীরভূমের রামপুরহাট স্টেশনে। এমন একটি ব্যস্ত স্টেশনে প্ল্যাটফর্মে পড়ে ছিলেন এক বৃদ্ধা। অথচ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করার উদ্যোগ নিল না রেল কর্তৃপক্ষ! স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত তিন দিন ধরেই রামপুরহাট স্টেশনের তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে পড়েছিলেন ওই বৃদ্ধা। দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, তিনি রীতিমতো অসুস্থ। ওঠে বসারও ক্ষমতা ছিল না। চোখ বুজিয়ে প্ল্যাটফর্মে শুয়েছিলেন। মঙ্গলবার রামপুরহাটের স্টেশন মাস্টারকে ওই বৃদ্ধার কথা জানান এক যাত্রীরা। এরপরই তাঁকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করেন স্টেশন মাস্টার এইচ জাহান।
রামপুরহাট স্টেশনে এমন ঘটনা যে প্রথম ঘটল, তা কিন্তু নয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও হকারদের দাবি, রামপুরহাট স্টেশনে নেমে তারাপীঠ যান ভক্তেরা। দীর্ঘ রেলযাত্রার ধকলে হামেশাই অসুস্থ হয়ে পড়েন বয়স্করা। অনেকেই স্টেশনে পড়ে থাকেন। কিন্তু, রেল কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয় না।
[ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে আক্রান্ত রোগীর পরিবার, ধুন্ধুমার কাণ্ড রায়গঞ্জে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.