জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: প্রায় দেড় মাস পর খুলেছে ভারত-বাংলাদেশের পেট্রাপোল সীমান্ত। শুরু হয়েছে আন্তজার্তিক বাণিজ্য। কিন্তু শুরুর দিন থেকেই বর্তমান পরিস্থিতিতে কেন সীমান্ত খোলা হল তা নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। রবিবারও কার্যত একই অবস্থা। এদিন পেট্রাপোল সংলগ্ন জয়ন্তীপুরের বাসিন্দা ও শ্রমিকদের একাংশের বিক্ষোভে উত্তাল হয় এলাকা। আমদানি-রপ্তানি অবিলম্বে বন্ধ করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
জানা গিয়েছে, কেন সমস্ত শ্রমিক ইউনিয়নকে না জানিয়ে আন্তজার্তিক বাণিজ্য শুরু হল এই প্রশ্ন তুলে জয়ন্তীপুরের ছয়ঘরিয়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে আন্দোলন যোগ দেন শ্রমিকরা। আটকে দেওয়া হয় রাস্তা। শুল্ক দপ্তর এলপি থেকে শুরু করে সমস্ত আধিকারিকদের পেট্রাপোলে যেতে বাধা দেওয়া হয়। গ্রামবাসীদের কথায়, সীমান্তে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে বহুজনই ওই এলাকার বাসিন্দা। তাই আমদানি-রপ্তানি জারি থাকলে গাড়িচালক ও খালাসি ও শ্রমিকদের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়াতে পারে গোটা গ্রামে।
এদিন বিক্ষোভকারীরা বলেন, সীমান্তের ওপারে বেনাপোলে বহু মানুষ সংক্রমিত। তাই আমদানি-রপ্তানি শুরু হলে এপ্রান্তেও ছড়াবে সংক্রণ। ফলে এলাকাবাসীদের স্বার্থে বন্ধ করতে হবে সীমান্ত বাণিজ্য। বিক্ষোভের খবর পেয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ তুলে নেন গ্রামবাসীরা। প্রসঙ্গত, মার্চের মাঝামাঝি সময়ে করোনা সংক্রমণ রোখার উদ্দেশ্যেই সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুপাড়েই প্রচুর ট্রাক আটকে পড়ায় জটিলতা তৈরি হয়। তাই দু’প্রান্তের আধিকারিকরা বৈঠকে সীমান্ত খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এরপর শুক্রবারই খুলেছিল সীমান্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.