ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: হাই কোর্টের (Kolkata High Court) গড়ে দেওয়া কমিটির নির্দেশে শুরু হল পৌষমেলার মাঠ ফেন্সিং দিয়ে ঘিরে দেওয়ার কাজ। দুই থেকে আড়াই ফুটের দেওয়াল তোলার পর লোহার ফেন্সিং দেওয়া হবে। রবিবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর কমিটি এই সিদ্ধান্ত নেয়। জেলা পুলিশ নিরাপত্তার বিষয়টি দেখছে। ফেন্সিং তৈরির কাজ কিছুটা এগোলে কমিটির সদস্যরা আবার শান্তিনিকেতনে আসবেন এবং আশ্রমিক, ছাত্রছাত্রী, স্থানীয় বাসিন্দা-সহ অন্যান্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন বলেও জানা গিয়েছে।
বিশ্বভারতী (Visva Bharati University) সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ এবং বিশ্বভারতীর আধিকারিকদের সঙ্গে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় অফিসে বৈঠকে বসেন কমিটির চার সদস্য বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তুর ও রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। বৈঠকে এছাড়াও ছিলেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা, জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব আশোক মাহাত-সহ একাধিক আধিকারিক। প্রায় দেড় ঘন্টা বৈঠক চলে।
জেলা প্রশাসন এবং জেলা পুলিশের আধিকারিকরা আলোচনা সেরে বেরিয়ে আসার পর কমিটির সদস্যরা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ বেরিয়ে যান। রবিবার বৈঠকের পর কমিটি জানিয়ে দিয়েছিল, পৌষমেলা (Poush Mela) মাঠে ফেন্সিং দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী সোমবার সকাল থেকেই কাজ শুরু হয়। শান্তিকেতনের ঐতিহ্য মেনে প্রাথমিকভাবে দুই থেকে আড়াই ফুটের একটি ইটের দেওয়াল তোলা হবে এবং তার উপরে ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত লোহার ফেন্সিং দেওয়া হতে পারে। ইটের দেওয়ালের মাঝে মাঝেও ফাঁক রাখা হবে। সেই ফাঁকা অংশে লোহার ফেন্সিং বসানো হবে। মাঠে ঢোকার মোট ৮টি গেট থাকবে।
বিশ্বভারতী জানিয়ে দিয়েছে, মেলার মাঠে এই ফেন্সিং সম্পূর্ণ করতে প্রায় চার সপ্তাহ সময় লাগবে। আগে আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছিল ৬০ লক্ষ টাকার বেশি। বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, এই খরচের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। এদিকে আগামী দু’সপ্তাহ পর কমিটির সদস্যরা আবার শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan) আসতে পারেন। সেই সময় কমিটি আলোচনার মধ্যে দিয়ে ঠিক করবে, মেলার মাঠ সাধারণ মানুষ কীভাবে এবং কখন ব্যবহার করতে পারবেন। সূত্রের খবর, জেলা প্রশাসনের তরফে মেলার মাঠ এবং সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে। পুলিশের তরফে ৩৯টি সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। এছাড়াও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের একাধিক সিসিটিভি রয়েছে। এই সিসিটিভিগুলি দিয়ে ২৪ ঘন্টা নজরদারি চালানো হচ্ছে। এই বিষয়ে অবশ্য বিশ্বভারতীর মুখপাত্র অনির্বাণ সরকার কিছু বলতে অস্বীকার করেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.