চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: একশো দিনের কাজ করলেন শ্রমিকরা। আর টাকা গেল দুই মোবাইল সংস্থার অ্যাকাউন্টে। এমনই ভুতুড়ে কাণ্ডে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হলদিয়া ব্লকে। আর সে কথা স্বীকারও করে নিলেন ব্লকের সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের এক আধিকারিক ক্ষিতিশ ভৌমিক৷ তাঁর যুক্তি, “শেষ আধার নম্বর যেভাবে মোবাইল ফোনের সঙ্গে যোগ করেছেন একশো দিনের জব কার্ড হোল্ডাররা, তাতে টাকা চলে যাচ্ছে দুই মোবাইল সংস্থার ঘরে। তাই টাকা পেতে দেরি হচ্ছে৷” আর তাতেই নাভিশ্বাস অবস্থা হয়েছে হলদিয়ার চকদ্বীপা গ্রামের বেশ কিছু মানুষের। প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। যদিও বিডিও তুলিকা দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায় ব্লকে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে, ভাল কাজের সার্টিফিকেট দিলেন।
[ ফের জঙ্গলমহলে অবরোধ আদিবাসীদের, বিপর্যস্ত রেল পরিষেবা ]
মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেণ্ট গ্যারাণ্টি স্কিমে (এমজিএনআরইজিএস) গ্রামে রাস্তা তৈরি, পুকুর, খাল খনন, চারাগাছ বসানো ইত্যাদি কাজ করেন হাজার হাজার মানুষ৷ অন্যান্য ব্লকের মতোই কাজ হয়েছে হলদিয়া ব্লকে৷ কিন্তু প্রাপ্য পারিশ্রমিক থেকে বঞ্চিত তাঁরা৷ বকেয়া পারিশ্রমিক না পাওয়ার ক্ষোভ উগরে দিলেন হলদিয়া ব্লকের চকদ্বীপা গ্রামের বেশ কিছু মানুষ৷ স্থানীয় বাসিন্দা পার্বতী দাস জানিয়েছেন, “আমরা একশো দিনের প্রকল্পে কাজ করেছি৷ কিছু টাকা অনেক কষ্টে পেয়েছি৷ আরও বহু টাকা পাইনি৷ কয়েক বছর ধরে বাকি পড়ে রয়েছে৷” এ বিষয়ে স্থানীয় বিডিও লিপিকা দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি দিন কয়েক আগে হলদিয়া ব্লকে এসেছি৷ একশো দিনের কাজে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা, হলদিয়া ব্লক ভাল কাজ করেছে জানি৷” কিন্তু টাকা না পাওয়ার যুক্তি দেখালেন ব্লকের সংশ্লিষ্ট প্রকল্প এক আধিকারিক ক্ষিতিশ ভৌমিক৷ তার যুক্তি, “শেষ আধার নম্বর যেভাবে মোবাইল ফোনের সঙ্গে যোগ করেছেন একশো দিনের জব কার্ড হোল্ডাররা, তাতে টাকা চলে যাচ্ছে মোবাইল সংস্থার ঘরে৷ তাই টাকা পেতে দেরি হচ্ছে৷” মেবাইলে আধার লিঙ্কের সময়ই এই বিপত্তি ঘটেছে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।
তাহলে কার গাফিলতিতে এই ঘটনা ঘটল? সে উত্তর নেই কারও কাছে। শ্রমিকরা পাওনা টাকা উদ্ধারে দিশাহারা। সবাই প্রশাসনিক তৎপরতার দাবি তু্লেছেন।
[ গলসিতে গৃহবধূর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার, ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.