সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: দামোদর নদে আর ভরসা নেই। গরমকালে শিল্পশহরে পানীয় জলের বিকল্প উপায় খুঁজছে দুর্গাপুর পুরনিগম। সাহায্য নেওয়া হচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের।
[ মিনারেল ওয়াটারেও ভেজাল! বেআইনি কারবারের পর্দাফাঁস উত্তর ২৪ পরগনায়]
শিল্পশহর দুর্গাপুরের জলের প্রধান উৎস দামোদর নদ। এই নদের জলকে শোধন করে শহরের জল সরবরাহ করে দুর্গাপুর পুরনিগম। কিন্ত দামোদর নদের ফিডার ক্যানেল বা সেচ খালের জলস্তর যদি তিন মিটার বা তার বেশি হয়, তাহলে পাম্প চালিয়ে পানীয় জল সরবরাহ করা যায়। দুর্গাপুর পুরনিগম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এ বছর ভরা বসন্তেই দামোদরের সেচখালে জলস্তর তিন মিটারের নিচে নেমে গিয়েছে। কোনওমতে সকালের দিকে পাম্প চালানো গেলেও, বিকেলে কার্যত বন্ধ রাখতে হচ্ছে পানীয় জলের সরবরাহ। কৃত্রিম উপায়ে দুর্গাপুরের ফরিদপুর ব্লকে নাচন বাঁধের গভীরতা বাড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। শেষপর্যন্ত প্রায় চল্লিশ লক্ষ টাকা খরচ করে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১১টি গভীর নলকূপ বসায় দুর্গাপুর পুরনিগম। কিন্তু, জলস্তর নেমে যাওয়ায় সাতটি নলকূপ থেকে আর জল পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে।
পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে এখনও রাজ্যে সেভাবে গরম পড়েনি। বরং ঝড়-বৃষ্টির কারণে বাতাসে ঠান্ডার আমেজ। কিন্তু, সে আর কতদিন! গরমকাল তো প্রায় চলেই এল। দুর্গাপুর শহরের পানীয় জল সরবরাহের বিকল্প পথ খুঁজতে কলকাতা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহায্য চেয়েছে পুরনিগম। দু’পক্ষের মধ্যে চুক্তি হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুরনিগম সূত্রে খবর, দুর্গাপুর শহরজুড়ে মাটির নিচে জলস্তর নিয়ে সমীক্ষা চালাবেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। সেই সমীক্ষার ভিত্তিতে ৩৬টি বড় টিউবওয়েল বসানো হবে শিল্পশহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে। এই প্রকল্পের জন্য ৭১ কোটি টাকা অনুমোদনও করেছে পুর ও নগরোয়ন্নন দপ্তর। দুর্গাপুর পুরনিগমের মেয়র পারিষদ(জল) পবিত্র চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দামোদর নদের পরিস্থিতি ভয়াবহ। ফিডার ক্যানেলগুলিতে ঠিকমতো জল আসছে না। তাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় দুর্গাপুরে বড় টিউবওয়েল বসানো হবে।
[ শিক্ষক নেই, ক্লাস হয় না, মিড-ডে মিল খেয়েই বাড়ি ফেরে পড়ুয়ারা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.