সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরুলিয়া বাজারের সভা থেকে গতকাল অর্থাৎ রবিবার নন্দীগ্রামে গুলি চলার ঘটনার জন্য অধিকারীদের দায়ী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ করেছিলেন, ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ ‘বাপ-ব্যাটার’ নির্দেশেই পুলিশ ঢুকেছিল নন্দীগ্রামে। তৃণমূল নেত্রীর এই দাবিতে স্বাভাবিকভাবেই তোলপাড় রাজ্যনীতি। পালটা দিলেন সাংসদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari)।
জখম হওয়ার ১৮ দিন পর গতকাল অর্থাৎ রবিবার নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিরুলিয়া বাজারে জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখান থেকেই নাম না করে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন অধিকারীদের। নন্দীগ্রাম কাণ্ডের দায় চাপিয়ে দেন শুভেন্দু-শিশিরের উপর। বলেন, “বাপ-ব্যাটার অনুমতি ছাড়া নন্দীগ্রামে পুলিশ ঢুকতে পারত না। বুদ্ধদেববাবুর সঙ্গে ওদের যোগাযোগ ছিল। কী হবে সবটা জানতেন।” মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগে স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে একাধিক প্রশ্ন। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে বলেই দাবি করেছেন শিশির অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, “উনি বুঝে গিয়েছেন হার নিশ্চিত। সেই কারণেই অধিকারীদের বদনাম করে ভোটে জেতার চেষ্টা করছেন।” ক্ষমতা থাকলে তৃণমূল নেত্রীকে মুখোমুখি বসার আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি, মমতার প্রার্থীপদ বাতিলের দাবিতে কমিশনে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিশির।
এপ্রসঙ্গে বামনেতা তথা যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী (CPM candidate) সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) বলেন, “আজ বলছেন নন্দীগ্রামের দায় অধিকারীরদের। এদিকে অধিকারীরা বলছে মমতা করেছেন। ওরা নিজেদের জন্য রাজ্যের সর্বনাশ করেছে। এক মহিলা ক্ষমতা দখলের জন্য নানারকম চক্রান্ত করেছে। জঙ্গলমহলের আদিবাসীদের খুন করা হয়েছে। যাঁরা করেছেন তাঁরা আজ ক্ষমতায়, সবাই পদাধিকারী। রাজনৈতিক সুবিধা পেতে নিয়মিত ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। নিজেদের ঝগড়ায় আজ তা প্রকাশিত। কিন্তু বাংলার যা ক্ষতি হয়েছে তা কীভাবে পূরণ করবেন?” নন্দীগ্রামে ভোটের মুখে মমতার এই বিস্ফোরক অভিযোগ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.