সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাত দফার লোকসভা নির্বাচন শেষ। আগামী বৃহস্পতিবার ফল ঘোষণা। এরই মধ্যে উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। এখনও পর্যন্ত যা খবর, ভোটের ফল বেরনোর আগেই চাকরিপ্রার্থীদের তৃতীয় দফায় ভেরিফিকেশনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
এ রাজ্যের সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা কম নয়। স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর, সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে শূন্য শিক্ষকপদের সংখ্যা প্রায় চোদ্দ হাজার। ২০১৬ সালে শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকার। স্কুল সার্ভিস কমিশনের তত্ত্বাধানে প্রথম স্টেট লেভেল সিলেকশন পরীক্ষা হয় ২০১৭ সালের জুন মাসে। পরীক্ষায় বসেছিলেন ৫ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী। শেষপর্যন্ত অবশ্য কেউই চাকরি পাননি।
কারণটা কী? স্কুল সার্ভিস কমিশনের বক্তব্য, রাজ্যস্তরের নিয়োগ পরীক্ষার ভিত্তিতে উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকপদে সফল কর্মপ্রার্থী তালিকা তৈরির কাজ শেষ। এমনকী, দুই দফায় কর্মপ্রার্থী তথ্য যাচাই কাজও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে বেশ কয়েকটি মামলা চলছে। আইনি জটেই উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া থমকে গিয়েছে। গত বছরের মাঝেই অবশ্য হাই কোর্টের রায়ে জট কাটার ইঙ্গিত মিলেছিল। হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, উচ্চ প্রাথমিকে যে দশ শতাংশ শিক্ষক পদে নিয়োগ নিয়ে মামলা চলছে, সেই দশ শতাংশ পদ বাদ দিয়ে বাকি পদে শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে।
লোকসভা ভোটের মুখে নিয়োগের দাবিতে কলকাতার মেয়ো রোডে অনশনে বসেছিলেন এসএসসি কয়েকশো কর্মপ্রার্থী। প্রায় এক মাস ধরে চলে অনশন। অনশনকারীদের অভিযোগ ছিল, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় পাস করা সত্ত্বেও চাকরি পাননি তাঁরা। সকলেরই নাম রয়েছে ওয়েটিং লিস্টে। শেষপর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাসে অনশন প্রত্যাহার করেন এসএসসি-র কর্মপ্রার্থীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.