ফাইল ছবি
ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: যেন চলমান ভেন্টিলেটর! করোনার তৃতীয় তরঙ্গের বিরুদ্ধে লড়াই করতে অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যেই এমন ভেন্টিলেটর রাখা থাকবে। সঙ্গে থাকবেন নার্স। যিনি এমন ভেন্টিলেটর ব্যবহারে পারদর্শী। করোনার সংক্রমনে তীব্র শ্বাসকষ্ট বা অন্যান্য উপসর্গ শুরু হলে বাড়ি থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই যদি ভেন্টিলেটর দরকার হয়, তাই এমন ব্যবস্থা। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর জরুরী ভিত্তিতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে থার্ড ওয়েভের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। আর তারই অনুষঙ্গ এমন ভেন্টিলেটর।
বাচ্চাদের জন্য এমন শতাধিক অ্যাম্বুল্যান্স তৈরি করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। কলকাতার জন্য যেমন তেমনই জেলা হাসপাতালেও এমন ভেন্টিলেটরবাহী অ্যাম্বুল্যান্স থাকবে। বাচ্চার সঙ্গে যাতে তার মাও হাসপাতালে যেতে পারেন তার জন্য এই অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে থাকবে মায়ের বসার ব্যবস্থা। রাজ্যে প্রথম এমন চলমান ভেন্টিলেটর অ্যাম্বুল্যান্স বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।
এতো গেল, একটা দিক। যেসব বাচ্চার বয়স ১৪-১৮বছরের মধ্যে তারা কোন ওয়ার্ডে থাকবে? হাসপাতালে তার সঙ্গে বাবা না মা কে থাকবেন এমন ঘটনা হলে কি ব্যবস্থা তার উপায় বাতলেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। বলা হয়েছে, যদি ছেলে হয় সেক্ষেত্রে পুরুষ ওয়ার্ডে ভরতি করা হবে। সঙ্গে থাকবে বাবা। কিন্তু মেয়ে অসুস্থ হলে মহিলা ওয়ার্ডে মায়ের সঙ্গে থাকবে। বাবা ও মা দুজনেই যদি অসুস্থ হন। অথবা বাচ্চার বাবা-মা না জীবিত না থাকলে সেক্ষেত্রে কোভিড ওয়ারিয়র থাকবেন। অর্থাৎ প্রতিটি বাচ্চার ওয়ার্ডে একাধিক কোভিড ওয়ারিয়র নিয়োগ করা হবে। তাঁরাই এই বাচ্চাদের দেখভাল করবেন। এইজন্য বেশকিছু কোভিড ওয়ারিয়র নিয়োগ করতে চলেছে সরকারি হাসপাতালে। বস্তুত, করোনার তৃতীয় তরঙ্গকে রুখে দিতে সব ব্যবস্থা নিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
তবে তৃতীয় ঢেউতে সিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। বিভিন্ন রাজ্যের শিশু বিশেষজ্ঞদেরসঙ্গে কথা বলে তাঁরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। তবে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কোমর বাঁধছে সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.