শেখর চন্দ্র, আসানসোল: মাধ্যমিকে স্কুলের টপার মেয়ে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৪। ফল জানার পর থেকেই সন্তানের ছবি হাতে কেঁদে চলেছেন আসানসোল উমারানি গড়াই স্কুলের ছাত্রী থৈবি মুখোপাধ্যায়ের পরিবার, পরিজন থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কারণ, গত এপ্রিলেই জন্ডিস প্রাণ কেড়েছে ছাত্রীর।
আসানসোল উমারানি গড়াই স্কুলের সব সময়ের টপার থৈবি মুখোপাধ্যায়। বাবা বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায় পেশায় হোমিওপ্যাথি ডাক্তার। মা পিউ মুখোপাধ্যায় গৃহবধূ। চলতি বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয় থৈবি। তবে তার আগেই ছাত্রীর জন্ডিস ধরা পড়ে। চিকিৎসার জন্য ভেলোর ছুটে যান বাবা-মা। লিভার ট্রান্সফার করার খরচ ১ কোটি টাকা। জানতে পেরে এগিয়ে আসে স্কুল, শহরবাসী। চিকিৎসার জন্য সোশাল মিডিয়া থেকে অর্থ সাহায্য মেলে। কিন্তু তাতেও জোগাড় হয়েছিল ৪৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু এত চেষ্টা সত্ত্বেও বাঁচানো যায়নি থৈবিকে। গত ১৬ এপ্রিল মৃত্যু হয়েছে তার।
হাতে গোনা ১৭ দিনের মাথায় প্রকাশিত মাধ্যমিকের ফল (WB Madhyamik Result 2025)। রেজাল্ট বলছে থৈবি স্কুলের টপার। মাধ্যমিকে তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৪। অসহ্য পেটে যন্ত্রনা নিয়ে পরীক্ষা দিয়েও তাক লাগানো সাফল্য। বাংলায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৯। অংকে ৯৮, ফিজিক্যাল সায়েন্সে ৯৭, লাইফ সায়েন্সে ৯৮, ইতিহাস ৯৫, ভূগোল ৯৫। ফলপ্রকাশের পর থেকেই ছাত্রের ছবি হাতে কেঁদে চলেছেন পরিবারের সদস্যরা। ভেঙে পড়েছেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বলছেন, “পড়াশোনা, আঁকা, গান, সবেতেই ও প্রথমে। থৈবি সুস্থ অবস্থায় পরীক্ষা দিতে পারলে হয়তো রাজ্যের টপার হতো হয়তো।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.