সুমন করাতি, হুগলি: রাজনীতির ময়দানে তিনি তৃণমূলের সৈনিক। কিন্তু পেশায় ব্যবসায়ী। আর সেখানে শাসক-বিরোধী বলে কিছু নেই। তাই ব্যবসায়ী প্রার্থীর দোকানেই বিকোচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের পতাকা। সিপিএম, বিজেপি নেতা-কর্মীরা ওই দোকান থেকে তাঁদের দলীয় পতাকাও কিনছেন। ভোটের (West Bengal Panchayat Election 2023) আগে হিংসা, হানাহানির মাঝে হুগলির পাণ্ডুয়ার বৈঁচী যেন বেশ ব্যতিক্রমী।
বাটিকা বৈঁচী গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামসভার তৃণমূল প্রার্থী দীপ্তেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাবুয়া। বৈঁচী রেলগেট লাগোয়া বৈঁচী কালনা রাস্তার পাশেই তাঁর স্টেশনারি দোকান। সেই দোকানে তৃণমূলের সঙ্গে বিকোচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের পতাকা। বিরোধীরাও আসছেন পতাকা কিনতে। দীপ্তেন্দু জানান, “দোকান চালিয়ে তাঁর পেট চলে। তাই দোকানে তৃণমূল, সিপিএম, বিজেপির কোনও তফাৎ নেই। ভোটের ময়দান আলাদা। সেখানে নীতির লড়াই। আর দোকান হল পেটের লড়াই। আসলে এখানে হানাহানি, মারামারির বদলে বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান। সব দলের পতাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে তৃণমূলের একটু বেশি।”
আবার দীপ্তেন্দুর দোকান থেকে পতাকা কিনতেও কোনও সমস্যা নেই বিরোধীদের। তাঁদের কথায়, “রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়। ক্রেতা ও ব্যবসায়ীর সম্পর্ক অন্য জায়গায়।” বিজেপির দেবপ্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, “রাজনীতির ময়দানে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলি না। দীপ্তেন্দু তৃণমূল করলেও তাঁর দোকান থেকে পতাকা কিনেছি। কারণ এটা ওঁর ব্যবসা। তার থেকে বড় হল পাণ্ডুয়ায় একটা সৌভ্রাতৃত্বের পরিবেশ আছে। বিজেপি বেশিরভাগ পতাকা কলকাতা থেকে আনে।”
সিপিএমের প্রদীপ সাহা বলেন, “তৃণমূলের যিনি প্রার্থী হয়েছেন তিনি একজন ব্যবসায়ী। তাঁর দোকানে তিনি কী বিক্রি করবেন সেটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমরা ক্ষমতায় থাকাকালীন পাণ্ডুয়ায় গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষা করার চেষ্টা করেছি। কারণ রাজনৈতিক লড়াই হবে নীতি এবং আদর্শের। সেখানে ব্যক্তিগত কুৎসার কোনও জায়গা নেই।”
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.