চঞ্চল প্রধান, নন্দীগ্রাম: ভোটের সকাল থেকেই উত্তাল গোটা বাংলা। সকালেই টুইটে রাজ্যকে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী। ভোট দিতে গিয়েও শাসকদলের একহাত নিলেন। কালীঘাট যাওয়ার ডাক দিলেন তিনি।
শনিবার অর্থাৎ ভোটের সকাল থেকেই অশান্ত বাংলা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক মৃত্যু ঘটেছে। এদিন ভোট দেওয়ার পর এই সব নিয়ে মুখ খুললেন শুভেন্দু অধিকারী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেককে চোর বলে কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, “কোর্টের অর্ডার ওরা মানেনি। সিভিক ব্যবহার করা হয়েছে ভোটে। এছাড়াও আদালতের কোনও নির্দেশই মানা হয়নি। কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই।” গুলি ও ভোট লুট নিয়ে বলেন, “এর থেকে মুক্তির পথ গণ অভ্যুত্থান। চলো কালীঘাট। প্রথম কয়েকজনকে মরতে হবে। আমি থাকব। আমার লক্ষ্য বাংলাকে বাঁচানো। তাঁর জন্য যা প্রয়োজন করব।” তিনি আরও বলেন, “কার্ড নিয়ে গিয়ে তৃণমূল যা খুশি তাই করছে। খুন করো, ধর্ষণ করো, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো আছে।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেলে ঢোকানোর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে শুভেন্দু ৩৫৬ বা নির্বাচনের সময় ৩৫৫ ধারা জারির কথা বলেন। শুভেন্দুর দাবি, এটা না হলে রাজ্য শান্ত হবে না। মনীশ জৈন-সহ একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিককে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি। যদিও ভোটের অশান্তির অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। উলটে শুভেন্দুকে পালটা দিয়েছেন তিনি। বলেন, “শুভেন্দু, মহম্মদ সেলিম ও অধীররঞ্জন চৌধুরী একসঙ্গে হাত মিলিয়ে অশান্তি করছেন। কারণ ওরা রাজনীতি করতে চেয়েছিলেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.