শান্তনু রায়, জলপাইগুড়ি: বারোটি ঘর। একটিই উঠোন। এক সঙ্গে ওঠাবসা, ঘরকন্না, খুনসুটি। ভাল রান্না হলে বাটি চালাচালিও হয়। পঞ্চায়েত ভোটের (WB Panchayat Poll 2023) আবহে তিন ঘরে লেগেছে রাজনীতির রং। জলপাইগুড়ির পুরাতন পাণ্ডাপাড়ার বাসিন্দা তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর তিন মামি পৃথক তিন দলের প্রার্থী হয়ে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ। আর তা নিয়ে জলপাইগুড়িতে চলছে জোর আলোচনা।
ভোট রাজনীতিতে পরিবারের লড়াই নতুন কোনও ঘটনা নয়। একসঙ্গে থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াইয়ে নেমেছেন এমন নজিরও ভুরিভুরি। সেই সারিতে এবার নাম জুড়ল অভিনেত্রী তথা সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর মামাবাড়ির। মিমির তিন মামি এবার প্রার্থী। সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরাতন পাণ্ডাপাড়ার ১৭/১৫৫ নম্বর আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন। বড় মামি কান্তা চক্রবর্তী কংগ্রেস প্রার্থী। মেজো মামি পর্ণা নাগ চক্রবর্তী সিপিএম। আর ছোট মামি পুনম চক্রবর্তী লড়ছেন ঘাসফুল প্রতীকে। ইতিমধ্যেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাঁরা। কোমর বেঁধে নেমেছেন প্রচারেও। লড়াই যে প্রতীকেই হোক না কেন সংসারে তাঁর আঁচ যেন না লাগে, সে ব্যাপারে সতর্ক তিনজনই।
পুরাতন পাণ্ডাপাড়ার বনেদি পরিবার হিসেবে পরিচিত চক্রবর্তীরা। এই বাড়ির সদস্যরা এক এক জন এক এক মতাদর্শে বিশ্বাসী। রাজনৈতিক রংয়ে কখনও ফিকে হয়নি সম্পর্ক। পরিবারের সদস্য তথা তৃণমূল নেতা রাম চক্রবর্তীর কথায়, “রাজনীতির সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক কখনও গুলিয়ে ফেলি না আমরা। বাইরে যে যার জন্য গলা ফাটাচ্ছে ফাটাক। ভিতরে আমরা সবাই এক।” তাই তিনজনকেই আগাম শুভেচ্ছা জানাই।
তিন জা-ও চান না ভোটের লড়াই সম্পর্কে ফাটল ধরাক। কংগ্রেস প্রার্থী কান্তা চক্রবর্তী তাই লড়াই বাড়ির বাইরেই সেরে আসতে চান। মেজো বউমা তথা সিপিএম প্রার্থী পর্ণা নাগ চক্রবর্তী এক সময় ছাত্র রাজনীতি করেছেন। বিয়ের পর সাংসারিক চাপে আর রাজনীতি করে ওঠা হয়নি। পর্ণাদেবীর বক্তব্য, “সম্পর্ক বজায় রেখেই লড়াই হবে। মানুষ যে দলকে ভোট দেবে সেই জিতবে।” ছোট বউমা পুনম চক্রবর্তীর বক্তব্যও একই। তিনি বলেন, “তিনজনের মধ্যে একজন জিতলেই আমরা খুশি।” মামিদের লড়াইয়ের গল্প ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে মিমির কানে। মামা রাম চক্রবর্তী জানান, তিন মামিকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.