নন্দন দত্ত, সিউড়ি: মিলনমেলার আয়োজন করে পঞ্চায়েতে জয়ীদের সরকারি শংসাপত্র বিলি করল তৃণমূল৷ রামপুরহাট দু’নম্বর ব্লকের এই মিলনমেলাকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে উঠেছে বিতর্ক৷
বীরভূম জেলার ১৯টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ১৫টিতে ইতিমধ্যেই বিনা লড়াইয়ে জয় পেয়েছে তৃণমূল। রামপুরহাট দু’নম্বর ব্লকেও সব আসনেই জয়ী হয়েছে তৃণমূলের প্রার্থীরা। ন’টি গ্রাম পঞ্চায়েতের কোথাও কোনও ভোট হবে না। ফলে, রবিবার জয়ী প্রার্থীদের নিয়েই একটি মিলন উৎসবের আয়োজন করে তৃণমূল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি থেকে পঞ্চায়েতের প্রার্থীরা। মঞ্চ থেকে জয়ীদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন তৃণমূলের রামপুরহাট দু’নম্বর ব্লক সভাপতি সুকুমার মুখোপাধ্যায়, কার্যকারী সভাপতি নিতাই মাল, দলের বীরভূম জেলা সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য৷
সরকারি শংসাপত্র রাজনৈতিক দলের সভামঞ্চ থেকে বিতরণ করা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে বিতর্ক৷ তবে এতে বিতর্কের কিছু দেখছেন না সুকুমারবাবু। তিনি বলেন, “সমস্ত নির্বাচিত সদস্য বিডিও অফিসে গিয়ে নিজেদের শংসাপত্র তুলেছেন। তারপর তাঁরা দলের অঞ্চল সভাপতিদের কাছে জমা রাখেন। কারণ আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম অনুষ্ঠান করে সকলকে এক সঙ্গে শংসাপত্র তুলে দেব।’’
কলকাতা হাই কোর্টের মামলার গেরোয় নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা আছে বিরোধীদের৷ ১৪ মে আদৌও ভোট করানো যাবে কি না তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন৷ এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সরকারি শংসাপত্র রাজনৈতিক সভামঞ্চ থেকে দেওয়ার বিরোধিতা করে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি৷ এই বিতর্কে বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, “তৃণমূল আইন-আদালতের ঊর্ধ্বে। এরা যেটা করবে সেটাই আইন৷” কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, “কিছুদিন পর যদি ব্লক অফিসগুলি ওদের পার্টি অফিস থেকে চালাতে শুরু করে তাতেও অবাক হওয়ার কিছু নেই৷” সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সঞ্জীব বর্মণ বলেন, “নির্বাচনের বিষয়টি এখন উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। এই পরিস্থিতিতে যা ঘটছে, তা না ঘটলেও চলত৷ এখন দেখছি, কেনও রাজনৈতিক দল আর আইনের ধার ধারছে না৷” যদিও, এদিন বিরোধীদের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে রামপুরহাট দুই ব্লকের বিডিও প্রসূন মুখোপাধ্যায় বলেন, “২ মে অফিস থেকে সকলকে শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। তারপর কী হয়েছে বলতে পারব না৷”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.