সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘দ্যাখ কেমন লাগে!’ দুই যুবককে বোঝাল পুলিশ (Police)। অচেনা দর্শনার্থীদের কানের কাছে তারস্বরে ভেঁপু বাজিয়ে মজা পায় দুই যুবক। বিকট শব্দের দাপটে ঠাকুর দেখতে বেরোনো ব্যক্তি যত অস্বস্তিতে পড়েন, কষ্ট পান, ততই যেন আনন্দ পায় ওই দুই যুবক। তাদের উচিত শিক্ষা দিল রাজ্য পুলিশ। একে অপরের কানে ভেঁপু ঠেসে ধরে তা বাজানো হল তারস্বরে। চোখ-মুখ লাল হয়ে গেল দুই যুবকের। রাজ্য পুলিশের অভিনব শাস্তিতে যাকে বলে ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা হল যুবকদের। অবশ্যি এরপরও শাস্তি ছিল। দুই যুবককে দেওয়া পুলিশের অভিনব শাস্তির ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে নেট দুনিয়ায়। তবে প্রশ্ন উঠছে, পুলিশের এমন ধারার শাস্তি কি সমীচীন?
পুজোর চারদিন রাজ্যের অধিকাংশ মানুষ উৎসবে মেতে ওঠেন, আনন্দ করেন। পুলিশকর্মীরা সাধারণ নাগরিকের সেই আনন্দকে ঝুট ঝামেলাহীন করার দায়িত্ব থাকেন। এবারও কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) ও রাজ্য পুলিশ (WB Police) সেই দায়িত্ব সাফল্যের সঙ্গে পালন করেছে। অন্যদিকে ‘ভেঁপুবাজ’দের কমতি নেই পথেঘাটে। ঠাকুর দেখার পাশাপাশি তাদের নিত্যকর্ম হল অন্যের কানের কাছে তারস্বরে ভেঁপু বাজানো এবং পৈশাচিক মজা পাওয়া। যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় তা কোন অঞ্চলের বোঝা না গেলেও সেই ‘কাজ’ই করছিল যুবকেরা। কিন্তু তাতে তারা বেকায়দাতেই পড়ে। রাজ্য পুলিশের চোখে পড়ে যায় ব্যাপারটা। এরপর?
এমনিতে বছরভর পুলিশ-প্রশাসন মনে করিয়ে দেয়, একজনের আনন্দ যেন অন্যজনের নিরানন্দের কারণ না হয়ে ওঠে। ‘সিভিক সেন্সে’র হাজারও পাঠ দেয় কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ। তারপরেও উদ্ভট মজা নেওয়ার শেষ নেই। তবে পুলিশের এমন ধারার শাস্তি কি সমীচীন? সে প্রশ্নও তুলছেন অনেকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.