স্টাফ রিপোর্টার: সোমবার বাড়াতেই হল পাখার রেগুলেটর। বাইরের প্রখর তেজ যেন থাবা বসাল গেরস্তের অন্দরে। তাই রান্না শেষে পাখা ফুল স্পিড করে একটু জিরিয়ে নিলেন ভট্টাচার্যি গিন্নি। রবিবার রাত থেকে আচমকাই গরমের ভেলকি দেখানো শুরু হয়েছিল। কিন্তু সোমবার থেকে একেবারে গ্রীষ্মকালের মতো সূর্যের তাপ। যে তাপে যেন এদিন ম্লান হল রাজনীতির উত্তাপও। তবে এবার আর ফ্যানের হাওয়ায় থেমে থাকতে চান না। তাই অনেকেই গরমের শুরুতেই সার্চ মারছেন এসি-র দামের। যাতে সহজ কিস্তিতেই ঘরে আনা যায় নিজেকে ঠাণ্ডা রাখার যন্ত্র। চলছে এসি কেনার তোড়জোড়। চৈত্র মাস এখনও পড়েনি। তার আগে আচমকাই গরমের তেজ। আর সেই তেজে পুড়ে ছাই বাংলা। সপ্তাহের প্রথম দিন অফিসে বেরিয়ে একেবারে ঘেমে-নেয়ে একশা অফিসবাবু। বেলা বাড়তে বাহিরমুখো হলেন না অনেকেই। দিন দুয়েক আগেও বাতাসে ঠান্ডার যে একটা আমেজ ছিল এদিন সকাল থেকেই তা উধাও। ফলে আচমকাই মাথায় উঠেছে ছাতা—টুপি। ভিড় বেড়েছে, ডাব-শরবতের দোকানে। একটু গলা ভিজিয়ে নেওয়ার চেষ্টা।
[আইনি পরিষেবা সমিতির তৎপরতা, বিয়ে আটকে গেল নাবালিকার ]
আবহাওয়াবিদদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, ফাল্গুনের শেষাশেষি অর্থাৎ মাঝ মার্চেই প্রখর সূর্যের তেজে মুখ পোড়ার জোগাড় হবে। এপ্রিলের গোড়ায় প্রখর তাপে ভাজাভাজা হওয়ার প্রভূত সম্ভাবনা। ফলে ভোটপ্রচারে বেরিয়ে বেশ বেগ পেতে হবে প্রার্থীদের। কারণ আবহাওয়া ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সময়টা একেবারে ভরা গ্রীষ্ম। কালবৈশাখী এসে ক্ষণিকের স্বস্তি দেবে কি না, তা জানা নেই। অতএব ঠা-ঠা রোদে ঘাম ঝরানোর জন্য মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন ভোটের রথী-মহারথীরা। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, এই বছরের মার্চের প্রথম সপ্তাহেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি নিচে নেমেছিল। যা নজিরবিহীন। কিন্তু এই সপ্তাহ থেকেই গরম বাড়বে রাজ্যে। যার আভাস মিলল সোমবারই। রাতেও পরিস্থিতির বিশেষ বদল হবে বলে মনে করছেন না আবহাওয়াবিদরা। লাগাতার পশ্চিমি ঝঞ্ঝার জেরে শীতও দীর্ঘায়িত হয়েছে। তাহলে কি গরমও সেই পথই অনুসরণ করবে! সেই আশঙ্কাই এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে রাজ্যবাসীর মধ্যে।
[সিরিয়ালে অভিনয়ের শখ, স্কুল থেকে পালাতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল ২ নাবালিকা]
নয়াদিল্লির মৌসম ভবন সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মার্চ, এপ্রিল, মে-তে গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে। বঙ্গোপসাগরের উপরে বায়ুমণ্ডলের পরিস্থিতি যা, তাতে চলতি মার্চে মারাত্মক গরম না পড়লেও তেজ থাকবে। গড় তাপমাত্রা মোটের উপরে স্বাভাবিক থাকার মানে এই নয় যে, গরম কম হবে। কয়েক দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়তো স্বাভাবিকের থেকে কম থাকবে। আবার কয়েক দিন তাপপ্রবাহ চলতে পারে। এবছর গ্রীষ্ম দীর্ঘায়িত হতে পারে জুন পর্যন্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.