ছবি: প্রতীকী
নব্যেন্দু হাজরা: শ্রাবণ বিদায় নিতে আরও এক সপ্তাহ বাকি। কিন্তু তার আগেই ভাদ্রের গরম মালুম পাচ্ছেন রাজ্যবাসী। শেষ শ্রাবণে বৃষ্টি ছিটেফোঁটা, মেঘলা আকাশ, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ (Humidity) অনেকটা বেশি। ফলে তীব্র হচ্ছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। উত্তর ও দক্ষিণ – দুই বঙ্গেই আবহাওয়ার এমনই পূর্বাভাস দিচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। ফলে বাড়িতেই হোক বা পথেঘাটে কাজের জন্য বেরলে, ঘেমেনেয়ে একশা হতেই হচ্ছে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ ছত্তিশগড়ের উপর দিয়ে এই মুহূর্তে মধ্যপ্রদেশে অবস্থান করছে। নিম্নচাপটি (Depression) সরে যাওয়ায় কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। উত্তরবঙ্গে আজও দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি – এই পাঁচ জেলায় বিক্ষিপ্ত দু-এক পশলা বৃষ্টির পূর্বাভাস। মঙ্গলবারও এরকম বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ একেবারেই কমবে। আপাতত ভারী বর্ষণ বা প্রবল বর্ষণের কোন সম্ভাবনা নেই উত্তরবঙ্গে। ফলে শৈলশহরেও চরমে উঠবে অস্বস্তি, তৈরি হবে ঘর্মাক্ত আবহ।
এদিকে, দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় আজ দু-এক পশলা ভারী বৃষ্টি হতে পারে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাতেও বজ্রবিদ্যুৎ সহকারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বাতাসে জলীয় বাষ্প খুব বেশি। এর জেরেই আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি চরমে উঠবে। কলকাতায় আজ দিনভর আংশিক মেঘলা আকাশ, বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় চরমে উঠবে। সকালে কোনও কোনও এলাকা ভিজেছে হালকা বৃষ্টিতে। দুপুর বা বিকেলে দু-এক পশলা বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে বৃষ্টি হোক বা না হোক, ঘাম ঝরবেই।
সোমবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৫ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল ৬৯ থেকে ৯৪ শতাংশ। সামান্য বৃষ্টি হয়েছে রবিবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.