ফাইল ছবি
রিংকি দাস ভট্টাচার্য: ক্রমশই রাজ্যে ঢুকছে নিম্নচাপ। তার জেরে বদলাচ্ছে আবহাওয়া। বুধবার সকালের দিকে রোদের মুখ দেখেছিল গোটা রাজ্য। তবে বেলা গড়াতে না গড়াতেই ক্রমশ কালো মেঘে ঢেকে যায় কলকাতা-সহ রাজ্যের একাধিক জেলার আকাশ। ছিটেফোঁটা বৃষ্টিতে ভেজে তিলোত্তমাও। রাজ্যেরও বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত এমন আবহাওয়া বজায় থাকবে বলেই অনুমান আবহবিদদের।
দুর্গাপুজো শেষ হয়ে গিয়েছে ঠিকই। তবে কালীপুজো এখনও বাকি। চলতি সপ্তাহের শুক্রবার ধনতেরস। তার পরেরদিনই ভূত চতুর্দশী। রবিবার কালীপুজো। তার আগে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস ছিলই যে বৃষ্টিতে মাটি হতে পারে কালীপুজোর আনন্দ। সেই আশঙ্কাই যেন সত্যি হল। মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টিতে ভিজতে শুরু করে গোটা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। বুধবার সকালে হালকা রোদের দেখা মিলেছিল ঠিকই। তবে বেলা বাড়তে না বাড়তেই উধাও রোদ। পরিবর্তে কালো মেঘে ঢাকল আকাশ। দু-চার ফোঁটা বৃষ্টিতে ভিজেছিল শহর। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার বিকেলের পর থেকে বাড়তে পারে বৃষ্টির পরিমাণ। দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টি সম্ভাবনা প্রবল। মূলত গাঙ্গেয় পশ্চিবঙ্গে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। শনিবার পর্যন্ত একই আবহাওয়া বজায় থাকবে বলেই দাবি আবহাওয়াবিদদের। আগামী ২৪ ঘণ্টায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
পুজো উদ্যোক্তারা জোরকদমে কালীপুজোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। বাজি বিক্রেতারাও ব্যস্ত বিকিকিনিতে। তার মাঝে বৃষ্টি প্রস্তুতিতে যে কিছুটা বাদ সাধবে, তা নতুন করে বলার কিছুই নেই। আবার বৃষ্টির জেরে বাজি বাজারের বিকিকিনিতেও সমস্যা হতে পারে বলেই আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের। তবে রবিবার বৃষ্টি কমে যাওয়ায় বাজি পোড়ানোর আনন্দ মাটি হবে না বলেই অভয়বাণী শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। আবহবিদদের দাবি, নিম্নচাপ সরে গেলেই এ রাজ্যে ঢুকতে পারে উত্তুরে হাওয়া। তাই নভেম্বরের শুরুতেই ঠান্ডা উপভোগ করতে পারেন শীতবিলাসীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.