ছবি প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখে মাস্ক থাকলেও উধাও সামাজিক দূরত্ব! সংক্রমণের আশঙ্কা উপেক্ষা করেই বাস-অটোয় যাতায়াত করছেন সাধারণ মানুষ। বাজার-মার্কেট প্লেসেও উপচে পড়া ভিড়। সরকারি নির্দেশিকাকে একপ্রকার বুড়ো আঙুল দেখিয়েই ‘স্বাভাবিক’ জীবনে ফিরতে মরিয়া রাজ্যবাসী। আর এই প্রবণতাই ডেকে আনছে বিপদ। অতীত সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে শনিবার বাড়ল আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।
এদিন রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩৫ জন। গতকাল যে সংখ্যাটা ছিল ৪২৭। একলাফে অনেকখানি বাড়ায় রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৭ হাজার ৭৩৮-এ। যাদের মধ্যে অ্যাকটিভ কেস ৪ হাজার ২৩৬টি। বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে লকডাউন শিথিল হলে কিংবা উঠে গেলেও হু হু করে ছড়াবে সংক্রমণ। এমনকী চিনের একটি বিশেষজ্ঞ দলের দাবি, মধ্য জুন থেকে প্রতিদিন দেশে ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হবেন। সেই ভবিষ্যদ্বাণীই যে সত্যি হতে চলেছে, তার ইঙ্গিতই যেন দিচ্ছে প্রতিটি রাজ্য তথা দেশের এই বাড়তে থাকা সংখ্যা।
শুধু আক্রান্ত নয়, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃতের সংখ্যাটাও বেশ উদ্বেগজনক। স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনার বলি ১৭ জন। মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩১১। একদিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০৭ জন। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত সুস্থ ৩,১১৯ জন। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসখ্যান অনুযায়ী, এই পর্বে প্রতিদিনই অল্প অল্প করে বাড়ছে নমুনা পরীক্ষার হার। একদিনে ৯ হাজার ৭৭১টি নমুনা টেস্ট হয়েছে। এ রাজ্যে এখনও অবধি মোট ২ লক্ষ ৬১ হাজার ২৮৮টি স্যাম্পেল টেস্ট হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতেই আবার সোমবার থেকে খুলে যাবে শপিং মল, রেস্তরাঁ। সেসব স্থানে যাওয়ার বিষয়েও একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে প্রশাসন। কিন্তু রাজ্যে যেভাবে সামাজিক দূরত্ব উধাও হয়ে যাচ্ছে, তাতে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, নির্দেশিকা আদৌ কেউ মানবে? বলাই বাহুল্য, নিয়ম অমান্য করলে বাংলার ক্রিজে আরও জাঁকিয়ে বসবে নোভেল করোনা (Coronavirus)।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.