ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউন থেকে সোশ্যাল ডিসটেন্সিং- সংক্রমণকে রুখে দেওয়ার সবরকম প্রয়াস অব্যাহত দেশজুড়ে। বাংলাও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু তাতেও আক্রান্তের সংখ্যাটা প্রায় রোজই একটু একটু করে বাড়ছে। গত চার-পাঁচদিন ধরেই ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৩০০০ করে মানুষের শরীরে থাবা বসিয়েছে এই মারণ ভাইরাস (Coronavirus)। রবিবারও তার ব্যতিক্রম হল না। আরও চিন্তা বাড়াল সামান্য নিম্নমুখী সুস্থতার হার।
এদিন রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত ২,৯৩৯ জন। যার মধ্যে শুধু কলকাতাতেই আক্রান্ত ৬১৫ জন। তবে কলকাতার পাশাপাশি সংক্রমণ বেড়েই চলেছে উত্তর ২৪ পরগনাতেও। সে জেলায় একদিনে ৫৮৮ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে ভাইরাস। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলিতে ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিতের সংখ্যা যথাক্রমে ৩০৬, ১৮৫ ও ৯৫। পরিস্থিতি খারাপের দিকে পশ্চিম বর্ধমানও। একদিনে সে জেলায় আক্রান্ত ১০৮জন। এর ফলে বাংলায় মোট সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯৫ হাজার ৫৫৪। টেস্টিং বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে অ্যাকটিভ কেসও। বর্তমানে বাংলার মোট অ্যাকটিভ কেস ২৬ হাজার ৩৭৫।
এদিন চিন্তার ভাঁজ গভীর করল মৃত্যুর সংখ্যাও। স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার বলি ৫৪ জন। কেবলমাত্র তিলোত্তমাতেই একদিনে ২১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনায় করোনার বলি ১৫ জন। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২০৫৯। তবে এর মধ্যেও আশা জোগাচ্ছেন করোনাজয়ীরা। মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও যে সঠিক চিকিৎসায় সুস্থ হওয়া সম্ভব, এ কথাই যেন প্রমাণ করে দিচ্ছেন তাঁরা। নানা বয়সের মানুষই এই ভাইরাসকে হারাতে সফল হচ্ছেন। যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার সামান্য কম। একদিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন ১৯৯৬ জন। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনামুক্ত ৬৭ হাজার ১২০ জন। সুস্থতার হার ৭০.২৪ শতাংশ।
লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব পালনের পাশাপাশি ট্রেসিং, ট্র্যাকিং, টেস্টিংয়ের মাধ্যমেও করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে টেস্টিংয়ের সংখ্যা। একদিনে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৬ হাজার ২৪২টি। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট স্যাম্পেল টেস্ট হয়েছে ১১ লক্ষ ৫ হাজার ৮৯৯টি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.