সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একা ব্রিজে রক্ষে নেই, জলের ট্যাঙ্ক দোসর! এমনই অবস্থা এখন রাজ্য সরকারের। রাজ্যের একাধিক সেতুর অবস্থা এখন নড়বড়ে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাব বারবার ধরা পড়েছে সেতুগুলির স্বাস্থ্যপরীক্ষায়। খোদ শহর কলকাতায় বেহাল স্বাস্থ্যের কারণে ভেঙে পড়েছিল মাঝেরহাট ব্রিজ। বিপর্যয় এড়াতে ভাঙা হচ্ছে ভগ্নদশার টালা ব্রিজ। এই পরিস্থিতিতে এবার নতুন করে রাজ্যের উদ্বেগ বাড়িয়েছে জলের ট্যাঙ্কগুলি। এবার সেগুলিও স্বাস্থ্যপরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন।
গতমাসে বাঁকুড়ার সারেঙ্গায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের জলাধার ভেঙে পড়ার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। মুখ পোড়ে রাজ্যের। বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি মমতা সরকারের। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি করার ফলেই মাত্র চার বছরের পুরনো জলের ট্যাঙ্ক হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের বাঁকুড়া ডিভিশনের জল সরবরাহ বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সুমন প্রামাণিক জানিয়েছিলেন, ‘ওই কাজের বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থাটির হাতেই জলের ট্যাঙ্কটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল। ৫ বছর জল ট্যাঙ্কে ফাটল ধরবে না বলেই জানিয়েছিল নির্মাণকারী সংস্থা। ওই জলের ট্যাঙ্কটি রক্ষণাবেক্ষণের ভার আমাদের হাতে তুলে দেয়নি।’ জানা গিয়েছে, ওই ট্যাঙ্কে ৭ লক্ষ লিটার জল মজুত থাকত। গড়গড়িয়া ও বিক্রমপুর পঞ্চায়েতের ১২ টি গ্রামে জল সরবরাহ করা হয়।
জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ার ঘটনায় রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেন। গাফিলতি প্রমাণ হলে ঠিকাদার সংস্থার লাইসেন্সও বাতিল হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। কিন্তু ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ার ঘটনায় সিঁদুরে মেঘ দেখে রাজ্য সরকার। বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। গ্রামাঞ্চলের ভোটব্যাংকে ধস নামতে পারে যদি জলাধার গুলির ভগ্নদশা মেরামত না করা হয়। ঘটতে পারে বড় কোনও বিপর্যয়। সেই অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই এবার সেতুগুলির পাশাপাশি জলের ট্যাঙ্কগুলিরও স্বাস্থপরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.