স্টাফ রিপোর্টার: এখনই সব জেলাকে ১ লাখ টাকার যক্ষ্মার ওষুধ কিনতে হবে। যা শেষ হতে না হতেই ফের ১ লাখ টাকার ওষুধ কিনতে হবে। জাতীয় যক্ষ্মা নির্মূল প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের বরাদ্দ বন্ধ করেছে কেন্দ্র। সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। চলতি সপ্তাহে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের এমনই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যভবনের এক কর্তার কথায়, যতদিন না অবস্থা স্বাভাবিক হচ্ছে এই নিয়ম চালু থাকবে। এর ফলে যক্ষ্মা রোগীরা সমস্যায় পড়বেন। সেটা যাতে না হয় তার জন্য ওষুধ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য।
ঘটনা হল রাজ্য যক্ষ্মার ওষুধ না কিনলে অন্তত দেড় লক্ষ রোগীর চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যেত। দিন পনেরো আগেও স্বাস্থ্য সচিব আধিকারিকদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেন। ফের ওষুধ চেয়ে দিল্লিকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। যে চারটি ওষুধের আকাল সেগুলো হল রিফামপিসিন, ই থামবুটল, আইএনএইচ, পাইরাজিনামিড। এর মধ্যে প্রথম দুটি ওষুধ দুমাস এবং পরের দুটি চার মাস রোগীকে খেতে হয়। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী যক্ষ্মা নোটিফায়েড ডিজিজ। অত্যন্ত সংক্রামক। রোগ চিহ্নিত হলেই নিক্ষয় পোর্টালে রোগীর নাম নথিভুক্ত করা হয়। রোগীর ওষুধ ও পথ্য কেন্দ্রীয় সরকার সরবরাহ করে।
এর মধ্যেই যক্ষ্মার ওষুধ না পাঠানোর প্রতিবাদে দেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টার। স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপের জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানিয়েছে তারা। এনিয়ে প্রবীণ বক্ষরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ধীমান গঙ্গোপাধ্যায়, ডা. শৈবাল ঘোষ, ডা. উদয়নারায়ণ সরকার, এবং মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের রাজ্য সম্পাদক ডা. বিপ্লবচন্দ্রও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.