রিংকি দাস ভট্টাচার্য: শীত কি তবে বিদায় নিল? এ বছরের মতো! মাঠেঘাটে, জঙ্গলে শিমুল-পলাশ ডালে ডালে ঝাঁকে ঝাঁকে রক্তবর্ণ ফুলের বন্যায় ইঙ্গিত যে তেমনই! হু-হু বয়ে যাওয়া উদাস বাতাসেও বুঝি বসন্তের হাতছানি!
আন্দাজ ঠিকই। বৃহস্পতিবার আলিপুর হাওয়া অফিসও জানিয়ে দিয়েছে, বসন্তের পথে আর কোনও বাধা নেই। তাপমাত্রা নামার আর বিশেষ সম্ভাবনা নেই। অর্থাৎ এ বছরের মতো শীত এবার সত্যিই বিদায় নিতে চলেছে বাংলা থেকে। যাবতীয় মধুগন্ধ নিয়ে বসন্ত এসে পড়েছে প্রায়! বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রায় সমস্ত আবহাওয়া সংক্রান্ত ওয়েবসাইটেও বসন্তাগমনেরই স্পষ্ট আভাস।
এই ওয়েবসাইটগুলির পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ, শুক্রবার থেকে শহর কলকাতার তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে। যেখানে, মাত্র দিন পাঁচেক আগে আগে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের পাঁচ ডিগ্রি কম। সোমবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১.১ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের এক ডিগ্রি বেশি। আপাতত পারদের এই ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকবে বলে এদিন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের উপ মহানির্দেশক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন?
[ ঘরোয়া বিবাদ, বিল্ডিং থাকলেও খোলা বারান্দায় চলছে স্কুলের পঠনপাঠন ]
বিশেষজ্ঞদের কথায়, এতদিন একের পর এক পশ্চিমি ঝঞ্ঝা এসে কখনও পুবালি হাওয়ার পথ আটকাচ্ছিল, কখনওবা পশ্চিমি বা পুবালি হাওয়ার সংঘর্ষে জেরে নামাচ্ছিল রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়। দপ্তরের এক কর্তা জানিয়েছেন, আপাতত কোনও পশ্চিমি ঝঞ্ঝা বা অন্য কোনও প্রাকৃতিক অনুষঙ্গ নেই। “দিনে বেলায় গরম, ভোরে এবং সন্ধ্যার পর ফুরফুরে বাতাস বইবে। মোদ্দা কথা বসন্তের পরিবেশ।”-বক্তব্য সঞ্জীববাবুর। তার আঁচ অবশ্য এদিন বেলা গড়াতেই অনুভূত হয়েছে। গায়ে সোয়েটার রাখা যাচ্ছে না। ঘেমেনেয়ে একশা দুপুরে সোয়েটার-ব্লেজারের জায়গা হয়েছে ব্যাগে কিংবা কাঁধে। বাড়িতে-অফিসে মাথার উপর ফ্যান চলছে বনবনিয়ে। কার্যত লোটাকম্বল গুটিয়ে আলমারিতে তোলার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।
দিনে হাঁসফাঁস গরম। রাত বাড়তেই ভেজা ভেজা ঠান্ডা। ভোরে শিরশিরে হাওয়া। প্রতিবারের মতো এবারও বছরের এই সময়টা আবহাওয়ার এই ‘দ্বিচারী’ আচরণে কাবু শিশু থেকে বয়স্ক। ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথাযন্ত্রণা। পরিবর্তনের এই সন্ধিক্ষণে তাই একটু সাবধানে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। জানিয়েছেন, শিশুদের সকাল ও রাতের দিকে গায়ে শীতপোশাক পরে থাকতে হবে। একইসঙ্গে সর্দিকাশি, হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিসে আক্রান্তদের ঈষদুষ্ণ গরম জলে স্নান করতে বলছেন চিকিৎসকরা।
ছবি: আশুতোষ পাত্র
[ পায়ুদ্বারে সোনা পাচারের চেষ্টা, ৫০ লক্ষ টাকার সামগ্রী-সহ ধৃত পাচারকারী ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.