ছবি: প্রতীকী।
অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধে অশান্তির মধ্যে খুন তৃণমূল কর্মী। বুধবার বনধ উপেক্ষা করে দোকান খোলা রাখায় পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে ওই ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন করা হয়। তিনি আবার এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত। এই খুনের ঘটনায় জেলায় বিজেপি-তৃণমূল চাপানউতোর শুরু।
[বনধে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, বিজেপির ঘাড়ে আধ কোটির দায় চাপছে]
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বুধবার বনধ উপেক্ষা করে দোকান খুলেছিলেন বিভুরঞ্জন দাস। স্থানীয় খাজরা বাজারে বিভুরঞ্জনের পানের দোকান ছিল। দোকান খোলায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে চোটপাট করে বলে অভিযোগ। তাদের মধ্যেই কেউ তাঁকে গুলি করে বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ডাক্তাররা। ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে। ঘটনার কথা জানতে পেরে মিলান থেকে প্রতিক্রিয়া দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। তিনি বলেন, দল পরিবারের পাশা রয়েছে। খুনের প্রতিবাদে আজ, বৃহস্পতিবার জেলার প্রতিটি ব্লকে বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের।
[ইসলামপুরে ঘাঁটি গেড়েছে জামাত-সিমি, বিস্ফোরক দিলীপ]
ওই বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দুটি গাড়িতে করে বিজেপির লোকজন এসেছিল। দোকান খোলা থাকায় বিভুরঞ্জনের সামনে হম্বিতম্বি করতে থাকে তারা। দোকান বন্ধ করার জন্য হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয় বিভুরঞ্জনকে। ওই ব্যবসায়ী প্রতিবাদ করলে তাঁকে গুলি করে গাড়িতে উঠে চম্পট দেয় বিজেপির সমর্থকরা। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ঘটনায় বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুললেও, খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির পালটা বক্তব্য, বোমা-গুলির রাজনীতি করে না দল। ঘটনার জেরে আজ, বৃহস্পতিবার থমথমে পরিস্থিতি কেশিয়াড়ির খাজরা বাজার এলাকায়। আততায়ীদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.