আকাশনীল ভট্টাচার্য,বারাকপুর: দিনরাত টিভির সামনে বসে থাকত ৮ বছরের শিশুটি। বড়দের সিরিয়ালও গ্রোগ্রাসে গিলত সে। টিভির নেশাই কি কাল হল? বৃহস্পতিবার দরমার ঘরে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান প্রতিবেশীরা। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ঘটনার সময়ে ঘরের টিভি চলছিল। টিভিতে দেখা কোনও দৃশ্য নকল করতে গিয়েই প্রাণ গিয়েছে শিশুটির। এদিন দুপুরে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল উত্তর চব্বিশ পরগনার ইছাপুরে।
[চাকার হাওয়া খুলে দিয়েছে গ্রিন ভলান্টিয়ার, হকিস্টিক-ক্ষুর নিয়ে হামলা টোটোচালকদের]
মৃতের নাম সুপ্রিয়া সাহা। বাড়ি ইছাপুরের ইন্দ্রপুরী এলাকায়। সুপ্রিয়ার বাবা রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। প্রতিদিন সকালে কাজে বেরিয়ে যান তিনি। বাড়িতে ছিলেন না মা-ও। বৃহস্পতিবার দুপুরে যখন স্কুল থেকে ফেরে সুপ্রিয়া, তখন বাড়িতে তার ভাই ছাড়া আর কেউ ছিল না। ভাই সুদর্শনের বয়স ২ বছর। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, নৈহাটিতে একটি কাজে গিয়েছিলেন সুপ্রিয়ার মা। স্কুল থেকে ফিরলে মেয়েকে ভাইয়ের খেয়াল রাখতে বলে গিয়েছিলেন তিনি। নিজের বাড়িতেই ছিল সুপ্রিয়া। বারান্দায় খেলছিল সুদর্শন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, খেলতে খেলতে আচমকাই ‘ভুত ভুত’ চেঁচিয়ে ওঠে সুপ্রিয়ায় ভাই। ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। ঘরে ঢুকে আঁতকে ওঠেন তাঁরা। দেখেন, ঘরে টিভি চলছে। আর সিলিং থেকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে ৮ বছরের সুপ্রিয়া। তড়িঘড়ি তাকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বারাকপুরের বিএন বসু হাসপাতালে। কিন্তু, বছর আটেকের শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনার জেরে শোকস্তব্ধ এলাকাবাসী।
কিন্তু, এতটুকু শিশুর পক্ষে তো আর আত্মহত্যা করা সম্ভব নয়! তাহলে কীভাবে ঘটল এমন মর্মান্তিক ঘটনা? সুপ্রিয়া সাহার পরিবারের লোক ও প্রতিবেশীদের দাবি, টিভি দেখার নেশা ছিল তার। বৃহস্পতিবার দুপুরেও স্কুল থেকে ফিরে ঘরে বসে টিভি দেখছিল সে। টিভিতে দেখা কোনও দৃশ্য হয়ত নকল করতে গিয়েছিল সুপ্রিয়া। কোনওভাবে গলায় ফাঁস লেগে যায়।
[নিম্নচাপের জেরে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় রাজ্যে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.