সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: বনদপ্তরের কার্যালয়ের মধ্যেই শ্বেত চন্দনের (Sandalwood) গাছ একেবারে মুড়িয়ে কেটে নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। পুরুলিয়া (Purulia) বনবিভাগের বাঘমুন্ডি বনাঞ্চলের বুড়দা বিট অফিস থেকে বুধবার রাতে কেউ বা কারা শ্বেতচন্দন গাছ কেটে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। বিট কার্যালয়ে নৈশপ্রহরী থাকা সত্ত্বেও এভাবে শ্বেতচন্দন গাছ কীভাবে কাটা পড়ল, সেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি নজরে পড়তেই তুমুল বিক্ষোভ (Agitation) হয়। ওই বিট কার্যালয়ের সদর দরজায় তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পুরুলিয়া বিভাগের ডিএফও (DFO) দেবাশিস শর্মা বলেন, “এই ঘটনায় এফআইআর করা হয়েছে। ওই কার্যালয়ের আধিকারিকদের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে।” বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’ থেকে আড়াই মিটার ছিল ওই চন্দন গাছ। ওই গাছের খোঁজে বাঘমুন্ডি বনাঞ্চল এলাকায় অভিযান শুরু করেছে বনদপ্তর।
কয়েক মাস আগে ঝালদা (Jhalda) বনাঞ্চলের খামার বিট অফিস লাগোয়া এলাকা থেকে একাধিক সেগুন গাছ কেটে নিয়ে চম্পট দিয়েছিল দুষ্কৃতীদল। ফলে বনদপ্তরের একাধিক জনকে শোকজ করেছিল। এর মধ্যেই দপ্তরের কার্যালয় থেকেই শ্বেতচন্দনের গাছ কেটে নেওয়ার ঘটনায় ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে পুরুলিয়া বনবিভাগ। এদিন এলাকার কয়েকটি সিসিটিভি (CCTV) ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ।
এলাকার মানুষজন প্রশ্ন তুলেছেন, ওই বিট কার্যালয়ে নৈশপ্রহরী থাকেন। তারপরেও কীভাবে ঘটল এই ঘটনা? এমনকি রাতের বেলা বনকর্মীদেরও আসা-যাওয়া থাকে। যদিও বনদপ্তরের দাবি, বুধবার রাতে বনকর্মীদের অধিকাংশজন হাতি তাড়ানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ওই রাতে ঝিরঝির করে বৃষ্টি পড়ছিল। বনদপ্তরের প্রাথমিক অনুমান, যখন বনকর্মীরা হাতি তাড়ানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন অর্থাৎ রাত দুটো থেকে আড়াইটের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। কিন্তু এলাকার মানুষজনের প্রশ্ন এই গাছ কাটতে তো অনেকখানি সময় লেগেছে। এর থেকে বোঝা যায়, বিট কার্যালয়ের কেউ বা কারা জড়িত না থাকলে এই কাজ সহজে করা যেত না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.