অর্ণব দাস, বারাকপুর: মৃত্যুর পরেও প্রিয়জনকে পাশে পাওয়ার অদম্য চেষ্টা। প্রয়াত স্বামীর সিলিকনের মূর্তি তৈরি করালেন স্ত্রী। মৃতকে জীবন্ত রূপ দিলেন দমদমের বাসিন্দা সুবিমল দাস। এর আগেও সুবিমলবাবু একাজ করেছেন। কৈখালির তাপস সাণ্ডিল্যের প্রয়াত স্ত্রী ইন্দ্রাণীর সিলিকন মূর্তি তৈরি করে নজির গড়লেন তিনি।
দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে ভালই কাটছিল অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ড: নিমাইচন্দ্র গোস্বামীর। ছেলেমেয়ে পড়াশোনার কারণে কলকাতায় থাকতেন। তবে স্ত্রী বৈশালী গোস্বামী তাঁর সঙ্গে সিউড়ির বাড়িতেই থাকতেন। করোনাকাল পেরিয়ে তখন গোটা পৃথিবী স্বাভাবিকের পথে। ২০২২ সালের প্রথম দিকে নিমাইবাবু অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসক জানান নিউমোনিয়া হয়েছে। তারপর চলে চিকিৎসা। কিন্তু নিমাইবাবুকে ফিরিয়ে আনতে পারেনি তাঁর পরিবার। ৩০ জানুয়ারি মৃত্যু হয় ডঃ নিমাই চন্দ্র গোস্বামীর।
প্রিয় মানুষটিকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছিলেন তিনজনই। ছেলে সৌম্যদীপ ডিপ্রেশনে চলে যান। শুধু একটাই ভাবনা কীভাবে বাবাকে ফিরিয়ে আনা যায়। গুগল বের করে দেয় উপায়। গুগলেই সন্ধান মেলে কলকাতার সিলিকনের যাদুকর সুবিমল দাসের। তাঁর হাতের তৈরি একের পর এক কাজ দেখে শেষমেশ সুবিমলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। গত বছর নভেম্বর মাসে সুবিমল বিশ্বাসের বিরাটিতে অবস্থিত ওয়ার্কশপে যান মা ও দুই ছেলেমেয়ে। কথা বলেন সুবিমলের সঙ্গে। নিমাইবাবুর একটি ছবি দেখিয়ে সিলিকন মূর্তি বানানোর কথা বলেন।
প্রয়াত নিমাইচন্দ্র গোস্বামীর সিলিকন মূর্তি সুবিমলবাবুর কাছ থেকে নেন পয়লা বৈশাখে। আপাতত কলকাতার বাড়িতেই রয়েছে নিমাইবাবুর মূর্তি। পরে নিয়ে যাওয়া হবে নিমাইবাবুর প্রিয় সিউড়ির বাড়িতে। সিলিকনের মূর্তি তৈরি করতে খরচ পড়েছে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। বাড়িতে নিয়ে গিয়ে চেয়ারে বসানোর পরেই পাশের চেয়ারে বসে পরলেন নিমাইবাবুর দুই ভাই, বোন, পিসি, কাকারা। শুরু হয় ফটোসেশন।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.