জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: এবার মনুয়াকাণ্ডের ছায়া বনগাঁয় (Bongaon)। প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজশ করে স্বামীকে খুনের অভিযোগে। গোপালনগর থানার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার মৃতের স্ত্রী ও তার প্রেমিক। অভিযুক্ত স্ত্রীর নাম আলপনা সর্দার ও তার প্রেমিক মধু হালদার। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গোপালনগরের নহাটা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশি জেরার মুখে স্বামীকে খুনের কথা আলপনা স্বীকার করেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার সকালে। বনগাঁর গোপালনগর থানা এলাকার শিকারিপাড়ার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রফুল্ল মিস্ত্রি নামে এক ব্যক্তির দেহ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানায়, তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। তবে ঘটনার পর থেকে থেকে পলাতক ছিল তাঁর স্ত্রী। প্রফুল্লর পরিবার ছেলের মৃত্যুতে পুত্রবধূ আলপনাকে দায়ী করে গোপালনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে আলপনা ও তার প্রেমিককে জালে আনে পুলিশ।
তদন্তকারীদের দাবি, আলপনাকে জেরায় অনেক তথ্যই উঠে এসেছে। আলপনা প্রফুল্লর দ্বিতীয় স্ত্রী। আলপনার প্রথম পক্ষের স্বামীর মৃত্যুর পর প্রফুল্লর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। অভিযোগ, আলপনার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল গ্রামের মধু হালদারের। প্রফুল্ল তার প্রতিবাদ করতেন। তাই পথের কাঁটা সরিয়ে দিতে আলপনা ও মধু একযোগে ষড়যন্ত্র করেই প্রফুল্লকে খুন করেছে বলে পুলিশ জানাচ্ছে।
এদিকে, প্রফুল্লর ছেলে প্রভাতের অভিযোগ, আলপনা তার প্রথম পক্ষের স্বামীকেও বিষ খাইয়ে খুন করেছিল। এবার আলপনার শিকার তার বাবা। প্রফুল্লকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর চোখে রড ঢুকিয়ে নৃশংস অত্যাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ প্রভাত মিস্ত্রির। মৃতের প্রথম পক্ষের স্ত্রীও মুখ খুলেছেন এই ঘটনায়। তাঁর অভিযোগের আঙুলও সরাসরি দ্বিতীয় স্ত্রী আলপনার দিকেই। প্রতিবেশীরা সকলেই জানাচ্ছেন, তাঁরা আলপনা-মধুর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতেন। কিন্তু তার জেরে এভাবে প্রফুল্লকে প্রাণ হারাতে হবে, তা ভাবতেই পারেননি কেউ। খুনিদের কঠোরতম শাস্তির দাবি তুলেছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.