সুমন করাতি, হুগলি: পহেলগাঁও হামলার পর থেকে সীমান্তে টহলদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ। সেই কাজ করতে গিয়ে ‘ভুল করে’ পাক ভূখণ্ডে ঢুকে নিখোঁজ হয়েছেন বঙ্গসন্তান, বিএসএফ জওয়ান (BSF Jawan Detained) পূর্ণম কুমার সাউ। স্বামীকে ফেরাতে বিএসএফের হেড কোয়ার্টারেও গিয়েছিলেন পুর্ণমের স্ত্রী। তবে আশা করেছিলেন, স্বামী ফিরবেন। কিন্তু অপারেশন সিঁদুর-এর পর থেকে দুশ্চিন্তা গ্রাস করেছে সাউ পরিবারকে। তাঁরা বলছেন, “পাকিস্তান আর ওকে ছাড়বে না।”
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করেছে জঙ্গিরা। এরপরই সীমান্তে টহলদারি বাড়ায় বিএসএফ। সেই কাজ করতে গিয়ে ‘ভুল করে’ পাক ভূখণ্ডে ঢুকে নিখোঁজ হয়েছেন বঙ্গসন্তান, বিএসএফ জওয়ান (BSF Jawan Detained) পূর্ণম কুমার সাউ। গত ১৪ দিন ধরে খোঁজ নেই তাঁর। সম্ভবত পাক রেঞ্জার্সের হাতে ‘বন্দি’তিনি। স্বামীকে ফিরে পেতে পূর্ণমের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রজনী ছুটে গিয়েছিলেন বিএসএফের হেড কোয়ার্টারে। আশ্বাস মিলেছিল স্বামীকে ফেরানোর। আশায় বুক বেঁধে হুগলির বাড়িতে ফিরেছিলেন তিনি। অপেক্ষা করছিলেন পূর্ণমের জন্য। কিন্তু ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সিঁদুরে মেঘ দেখছেন গোটা পরিবার। স্বামীর চিন্তায় দু’চোখে জল নিয়ে রজনী বলছেন, “এখন আর আশা দেখছি না। যুদ্ধ বেঁধে গিয়েছে। এখন পাকিস্তান আর হয়ত ছাড়বে না।”
প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) পরই প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ভারত। পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়াতে একাধিক চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। এরই মাঝে মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের বদলা অপারেশন সিঁদুর ভারতীয় সেনার। গভীর রাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র। বাহওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদ, মুরাক্কায় লস্কর-ই-তৈবা ও হিজবুল মুজাহিদিনর সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। গোটা অপারেশনের নজরদারিতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাতেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে হামলার বিবৃতি দেওয়া হয়। তাতে জানানো হয়, পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে ৯টি জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’করা হয়েছে। যে সব জায়গায় বসে ভারতে সন্ত্রাসবাদী হানার পরিকল্পনা হয়েছিল এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেখানেই আঘাত করা হয়ে
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.