নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: স্বামীকে খুনের অভিযোগে স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করল বনগাঁ থানার পুলিশ। ধৃত রাধারানি মণ্ডল পেশায় স্কুল শিক্ষিকা। ২৬ ফেব্রুয়ারি বারাসত হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল বাগদা থানার বাজিতপুরের বাসিন্দা দুলাল মণ্ডলের। মৃত্যুর আগে ওই ব্যক্তির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মৃতের স্ত্রীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ ওঠে। তদন্তের পর শুক্রবার রাতে অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ বছর আগে বাগদা থানার বাজিতপুর এলাকার বাসিন্দা দুলাল মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় আমডোবা এলাকার বাসিন্দা পেশায় শিক্ষিকা রাধারানি মণ্ডলের। তাদের ৮ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। জানা গিয়েছে, বিয়ের কয়েকবছর পর থেকেই ওই দম্পতির মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। ঝামেলার কারণে মেয়েকে নিয়ে বনগাঁর পশ্চিম পাড়ার এলাকায় ভাড়া থাকতে শুরু করেন রাধারানি মণ্ডল। এরপর থেকে মাঝে মধ্যেই মেয়েকে দেখতে বনগাঁয় স্ত্রীর ভাড়া বাড়িতেন যেতেন ওই ব্যক্তি। ১৬ ফেব্রুয়ারি শেষবার স্ত্রীর বাড়িতে যান ওই ব্যক্তি। ১৭ ফেব্রুয়ারি বনগাঁ থেকে বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। দুলালবাবুর মা অদিতি মণ্ডল জানান, স্ত্রীর বাড়ি থেকে ফিরে বমি করতে শুরু করে ওই ব্যক্তি। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে বনগাঁয় হাসপাতালে ভরতি করেন। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বারাসাতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়৷ ২৫ ফেব্রুয়ারি সেখানেই মৃত্যু হয় দুলাল মণ্ডলের।
জানা গিয়েছে, ১৬ তারিখ মেয়েকে দেখতে যাওয়ার পর দুলালবাবুকে ফলের রস খেতে দিয়েছিল তাঁর স্ত্রী। অভিযোগ, সেই পানীয়তে বিষ মেশানো ছিল। মৃতের পরিবারের দাবি মৃত্যুর আগে মাকে এমনটাই জানিয়েছিলেন দুলাল। এরপরই গোটা ঘটনা জানিয়ে পুত্রবধূর বিরুদ্ধে বনগাঁ থানার দ্বারস্থ হন দুলালের মা অদিতি মণ্ডল। এরপরই রাধারানি মণ্ডলের খোঁজে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরে শুক্রবার রাতে হরিণঘাটা এলাকা থেকে অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় পুলিশ। পরে শনিবার সকালে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন অভিযুক্তকে বনগাঁ আদালতে পেশ করা হয়েছে। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.