বাবুল হক, মালদহ: গয়না ছিনতাই করতে এসে চলন্ত ট্রেনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরা থেকে এক মহিলা যাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা! সোমবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লিগামী ব্রহ্মপুত্র মেলে। ওই মহিলার স্বামীর দাবি, ট্রেন যখন ঝাড়খণ্ডের বাড়হারোয়া স্টেশন পার করে, তখন থেকে স্ত্রীর আর কোনও খোঁজ পাচ্ছেন না। ট্রেনে খোঁজাখুঁজি করার পর জামালপুর স্টেশনে নেমে পড়েন তিনি। কিন্তু রেল পুলিশের সাহায্য না পেয়ে শেষপর্যন্ত ফিরে আসতে হয় মালদহ টাউন স্টেশনে। মালদহ জিআরপিতে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলার স্বামী।
কোচবিহারের দিনহাটার ঝুড়িপাড়া এলাকায় বাড়ি রাজু বর্মনের। কর্মসূত্রে হরিয়ানায় বাহাদুরগড়ে থাকেন তিনি। রবিবার রাতে জলপাইগুড়ির ধুপগুড়ি স্টেশন থেকে স্ত্রী নীলিমা, ছেলে মায়াঙ্ক ও শ্যালক বিশ্বজিৎকে নিয়ে দিল্লিগামী ব্রহ্মপুত্র মেলে ওঠেন রাজু। ব্রহ্মপুত্র মেলে এসি কামরায় ছিলেন তাঁরা। রাজু বর্মনের দাবি, সোমবার ভোরে তখন ট্রেন সবেমাত্র ঝাড়খণ্ডের বাড়হারোয়া স্টেশন পেরিয়েছে, ট্রেনের এসি কামরার শৌচাগারে যান তাঁর স্ত্রী নালিমা। কিন্তু আর বার্থে ফিরে আসেননি। ফোন-সহ ব্যাগটিও ফেলে গিয়েছিলেন। তাই স্ত্রীর সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি। ব্রহ্মপুত্র মেলে কর্তব্যরত টিটি ও পুলিশ আধিকারিকদের ঘটনাটি জানান রাজু। ট্রেনে খোঁজাখুঁজিও করা হয়। কিন্তু নীলিমার সন্ধান পাওয়া যায়নি। শেষপর্যন্ত জামালপুর স্টেশনে নেমে পড়েন রাজু। তাঁর অভিযোগ, জামালপুরে রেল পুলিশ কোনও সহযোগিতা করেনি। তাই বাধ্য হয়ে ফিরতি ট্রেনে ফের মালদহে চলে যান। মালদহ টাউন স্টেশনে জিআরপি অভিযোগ দায়ের করে রাজু বর্মন।
কিন্তু, চলন্ত ব্রহ্মপুত্র মেলে ওই মহিলা যাত্রীকে কারা অপহরণ করল? কেনইবা অপহরণ করা হল? রাজু বর্মনের দাবি, গলায় ও হাতে সোনার গয়না পরেই শৌচাগারে গিয়েছিলেন নীলিমা। গয়না ছিনতাই করার জন্য তাঁকে অপহরণ করেছে দুষ্কৃতীরা। তদন্তে নেমেছে রেল পুলিশ। দিন কয়েক আগে বর্ধমান ও বোলপুরের মাঝে গৌড় এক্সপ্রেসের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দুটি কামরায় উঠে লুটপাট চালিয়েছিল কয়েকজন দুষ্কৃতী। বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন বেশ কয়েকজন মহিলা যাত্রী। এই ঘটনার কয়েকদিন আগে আবার গৌড় এক্সপ্রেসেই শ্লীলতাহানির শিকার হন এক তরুণী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.