দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: করোনার ফলে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করে রাস্তায় ঘুরছেন বহু মানুষ। তাঁদের বাড়িতে পাঠাতে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতেই পুলিশের মানবিক মুখ দেখা গেল। হাসপাতালের যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স মেলেনি। সোনারপুর থানার আইসি সঞ্জীব চক্রবর্তী গাড়িতে করে তাঁকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেন। সেইসময় গাড়িতেই প্রসব করেন তিনি। পুলিশের এই মানবিক মুখ পেয়ে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।
কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী শুনশান রাস্তাঘাট। গৃহবন্দি সারা ভারতের মানুষ। রাজ্যেরও একই অবস্থা। রাস্তা জনমানব শূন্য। গাড়ি প্রায় চলাচল করছে না বললেই চলে। এমন পরিস্থিতিতে সোনারপুর থানার অন্তর্গত সুভাষ গ্রামে রাস্তার উপর এক অন্তঃসত্ত্বা তাঁর স্বামীর সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরও কোনও গাড়ি বা অ্যাম্বুলেন্স পাচ্ছিলেন না। এদিকে ততক্ষণে তাঁর প্রসবযন্ত্রণা শুরু হয়ে গিয়েছে। ঠিক সেই সময় এলাকার পরিস্থিতি দেখতে সোনারপুর থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক সঞ্জীব চক্রবর্তী ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই অন্তঃসত্ত্বাকে যন্ত্রণা পেতে দেখে তিনি গাড়িতে তুলে নেন। মিরা দেবী এবং তাঁর স্বামী-সহ আশপাশের আরও দুজন মহিলাকে নিজের গাড়িতে তুলে সুভাষগ্রাম হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রাস্তার মধ্যে পুলিশের গাড়িতেই প্রসব করেন ওই মহিলা। মিরাদেবী কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।
মিরাদেবীর স্বামী পেশায় চানাচুর বিক্রেতা সুরিন্দার গুপ্তা জানান, “স্বপ্নেও ভাবিনি পুলিশ আধিকারিক ভগবানের দূত হয়ে আসবেন। পুলিশের এমন সাহায্যে আমরা খুশি।” জানা গিয়েছে, তাঁরা আদপে বিহারের বাসিন্দা। এখানে বেশ কিছুদিন ধরে ভাড়ায় আছেন। সেখান থেকেই শিয়ালদার কাছে একটি ছোট চানাচুরের দোকানের চালান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.