সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলন্ত বাসের জানলা থেকে মাথা বের করে বমি করছিলেন এক যাত্রী। তাতেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। রাস্তার পাশের বিদ্যুতের খুঁটির ধাক্কায় মৃত্যু হল যুবতীর। মৃতার নাম ভানু মণ্ডল। রবিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের লালবাগে। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ভানু মণ্ডল নামে ওই যুবতীর বাড়ি মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ এলাকায়। লালবাগ হাসপাতাল চত্বরে ফলের দোকান ছিল তাঁর। রবিবার সকালে ওই মহিলা জিয়াগঞ্জ থেকে বহরমপুরগামী একটি বেসরকারি বাসে ওঠেন। জানা গিয়েছে, বাসের ওঠার পর থেকেই অসুস্থ বোধ করছিলেন তিনি। এরপর বাসটি লালবাগ যাওয়ার পথে নাকুরতলা এলাকায় বাসের জানলা থেকে মুখ বের করে বমি করতে যান ওই যুবতী। সেই সময়ই রাস্তার পাশের বিদ্যুতের খুঁটিতে তাঁর মাথা সজোরে ঢুকে যায়। মুহূর্তে দু’ভাগ হয়ে যায় ভানুদেবীর মাথার খুলি। একাংশ ছিটকে পড়ে রাস্তায়। রক্তে ভেসে যায় বাস ও রাস্তা। এরপর বাসের যাত্রীরাই কোনওরকমে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে।
দুর্ঘটনার পর বাস চালককে আটকে মারধর শুরু করেন যাত্রীরা। এরপর সুযোগ বুঝে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় ওই বাস চালক। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে কার্যত একই ঘটনা ঘটেছিল শহর কলকাতায়। বাসের বাঁ দিকে বসে হরিদেবপুর থেকে টালিগঞ্জ যাচ্ছিলেন উৎপল কর্মকার নামে এক ব্যক্তি। বাঁ হাতটি ছিল জানলার বাইরে। করুণাময়ীর কাছে একটি নিমীর্য়মাণ বাড়িতে দেওয়ালে হাতটি ঘষে যায়। ঘর্ষণের তীব্রতা এতটাই ছিল, যে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে কনুই থেকে হাতের অংশটি কেটে রাস্তায় পড়ে যায়। প্রচণ্ড রক্তক্ষরণে কার্যত অজ্ঞান হয়ে যান উত্তম কর্মকার। ফের একই ঘটনা রাজ্যে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.