সম্যক খান, মেদিনীপুর: কিছু পরেই ভাইয়ের কপালে মৃত্যুকাঁটা তিলক দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। চন্দনের ফোঁটা আঙুলে লাগিয়ে উচ্চারণের কথা ছিল, “ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা। যমদুয়ারে পড়ল কাঁটা।” কিন্তু, ভাইফোঁটা দিতে যাওয়ার পথে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দিদিরই! মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুরে।
[ ভাইফোঁটা নিতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা, মৃত একই পরিবারের ৩ জন]
মেদিনীপুর শহর থাকেন সুচিত্রা দাস দোলুই। পেশায় তিনি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। সুচিত্রার বাপের বাড়ি খড়গপুরের জগপুরের গোলবেড়িয়ায়। শুক্রবার সকালে ভাইফোঁটা দিতে স্বামীর স্কুটিতে চেপে বাপেরবাড়ি যাচ্ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল মেয়েও। মোহনপুরের কাছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ডাম্পারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে স্কুটিটির। রাস্তায় ছিটকে পড়েন সুচিত্রা। তাঁকে পিষে দিয়ে চলে যায় বাঁকুড়া থেকে দিঘাগামী একটি বাস। ঘটনাস্থলে মারা যান প্রাথমিক স্কুলের ওই শিক্ষিকা। তবে আশ্চর্যজনকভাবে রক্ষা পেয়েছেন সুচিত্রার স্বামী ও মেয়ে। দু’জনেরই সামান্য চোট লেগেছে। ঘটনার প্রতিবাদে মোহনপুরে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। শেষপর্যন্ত পুলিশ গিয়ে অবরোধ তোলে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঘাতক বাসের চালক ও খালাসিকে। ভাইফোঁটা দিতে আসার পথে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। একমাত্র বোনের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে মৃতার ভাই।
[ভিন রাজ্যে গিয়ে নিখোঁজ ভাই, ছবিতে ফোঁটা দিদির]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.