ছবি: প্রতীকী
বাবুল হক, মালদহ: মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ্যে এল মালদহের মানিকচকের আমবাগান থেকে উদ্ধার হওয়া তরুণীর পরিচয়। সেইসঙ্গে তরুণীর মৃত্যুর নেপথ্যে থাকা রহস্যের পর্দা ফাঁস করল পুলিশ। মৃতার বাবার অভিযোগ, পণের দাবিতে স্বামীই খুন করেছে তাঁর মেয়েকে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে আদালতে তোলা হলে তাকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চলছে তদন্ত।
শনিবার সকালে তরুণীর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় মালদহের মানিকচক থানার কামালপুরে। মানিকচক-রতুয়া রাজ্য সড়ক থেকে সামান্য দূরের একটি আমবাগানে দেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়, যুবতীকে ধর্ষণ করার পরই খুন করা হয়। শুরু হয় তদন্ত। এরপরই প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা যায়, বিহারের বাসিন্দা ওই তরুণীর সঙ্গে মালদহের কামালপুরের আকিলুর রহমানের দীর্ঘদিনের প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। নিজেকে চিকিৎসক বলে পরিচয় দিয়ে তরুণীকে সঙ্গে নিয়ে পালিয়েও ছিল ওই যুবক। এরপর মাস ছয়েক আগে পরিবার সব মেনে নিলে কামালপুরে সংসার শুরু করে ওই দম্পতি। সেই সময় থেকে ইটভাটায় কাজ শুরু করে আকিলুর। অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই পণের দাবিতে তরুণীর উপর অত্যাচার চালাতে শুরু করে ওই যুবক। মারধরও করা হত ওই বধূকে। মৃতার বাবার কথায়, “মেয়ের কথা ভেবে টাকা দিতে রাজি হয়েছিলাম। কিন্তু একটু সময় চেয়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু তার আগেই মেয়েটাকে শেষ করে দিল।” তিনি অভিযোগ করেন, আকিলুরই স্ত্রীকে খুন করেছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত যুবককে। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। তাকে আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.