ছবি: প্রতীকী
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ধর্ষণের প্রায় ১ মাস পর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন নির্যাতিতা। অভিযোগ, মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছিল ওই বধূকে। কিন্তু বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই গ্রামের মোড়লেরা নিজেদের মধ্যে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা শুরু করেন। সেই কারণেই অভিযোগ দায়েরের আগেই কেটে যায় দীর্ঘদিন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের গোলাবাড়ি এলাকায়।
[আরও পড়ুন: উদয়ন গুহর গাড়ি ভাঙচুরের প্রতিবাদ, ১২ ঘণ্টার পরিবহণ ধর্মঘট দিনহাটায়]
জানা গিয়েছে, কর্মসূত্রে স্বামী বাইরে থাকায় শ্বশুর, শাশুড়ি ও সন্তানকে নিয়ে ক্যানিংয়ের গোলাবাড়ি এলাকায় থাকেন ওই মহিলা। মাস খানেক আগে একদিন গভীর রাতে হঠাৎ ওই মহিলার বাড়িতে হাজির হয় প্রতিবেশী যুবক সাবির পিয়াদা। বধূ সারা না দেওয়ায় দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে ওই যুবক। অভিযোগ, এরপরই মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মহিলাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। গোটা ঘটনাটি কাউকে জানালে ভয়ংকর পরিণতি হবে বলেও হুমকি দেয় অভিযুক্ত। এরপরও নির্যাতিতা বধূ শ্বশুর, শাশুড়িকে গোটা ঘটনাটি জানান। পরে গ্রামে বিষয়টি জানাজানি হতেই সালিশি সভার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন মোড়লরা। কার্যত পুলিশি ব্যবস্থা এড়াতে একাধিকবার সভার আয়োজন করা হয়।
কিন্তু কোনও সভাতেই মেলেনি সমাধান সূত্র। এরপর রবিবার রাতে ক্যানিং থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা মহিলা। অভিযোগ দায়েরের পরেই শারীরিক পরীক্ষার জন্য নির্যাতিতাকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নির্যাতিতার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করা হয়েছে। যদিও এখনও খোঁজ মেলেনি অভিযুক্তের। কিন্তু ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ১ মাস, তাই মেডিক্যাল রিপোর্ট তদন্তে ঠিক কতটা সাহায্য করবে তা নিয়েও সংশয়ে তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.