ছবিতে দুই ছেলের সঙ্গে রিংকু দাস, ছবি : জয়ন্ত দাস।
কাটোয়া, ধীমান রায়: কাটোয়ায় একাধিক সম্পর্কের জেরে কুপিয়ে খুন বিধবা। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে ওই মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতের নাম রিংকু দাস(৪২)। সকালে ঘুম থেকে দেরি করে উঠছেন রিংকুদেবী, এমনটা সচরাচর দেখা যায় না। বৃহস্পতিবার বেলা পর্যন্ত তাঁর সাড়াশব্দ না পেয়ে খোঁজ নিতে আসেন এক আত্মীয়া। তাঁর দাবি, রিংকুদেবীর ঘরের দরজা খোলা ছিল। দরজার একেবারেই সামনেই পড়েছিল রক্তাক্ত মৃতদেহ। কাটোয়া থানায় খবর দেওয়া হয় কাটোয়া থানায়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি মৃতার পরিবারের লোকেরা। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, রিংকুদেবীর দুই ছেলে সজল ও সুমন। তাঁরা কর্মসূত্রে মুম্বইতে থাকেন। দু’জনেই মুম্বইয়ের এক হোটেলের কর্মচারী। সম্প্রতি জন্মদিন উপলক্ষে বাড়ি আসেন ছোট ছেলে সুজন। গত রবিবার জন্মদিনের অনুষ্ঠানের পর পূর্বস্থলীর জামালপুরে মামার বাড়িতে বেড়াতে যান সুমন। বুধবার মামাবাড়িতেই ছিলেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বছর দুয়েক আগে রিংকুদেবী স্বামী সন্তোষ দাসও খুন হয়েছিলেন। স্থানীয় এক আশ্রম থেকে তাঁর গলায় ফাঁস দেওয়া দেহ উদ্ধার হয়। সেই রহস্যের এখনও কিনারা হয়নি।
কিন্তু, রিংকুদেবী কেন খুন হলেন? প্রতিবেশীদের দাবি, বিড়ি বেঁধেই সংসার চলত রিংকু দাসের। বাড়িতে একাই থাকতেন তিনি। ওই মহিলার সঙ্গে দেখা করতে অনেকেই তাঁর বাড়িতে আসতেন। বেশিরভাগই পুরুষ। তাঁদের আসা-যাওয়ার কোনও সময়ও ছিল না। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল রিংকুদেবীর। সম্পর্কে টানাপোড়েনের কারণেই খুন হয়েছেন তিনি। সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
[ইছাপুরে শুটআউট, দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন যুবক]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.