রাজা দাস, বালুরঘাট: আইন মেনে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু টাকা ও গয়না না পেয়ে স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকেরা শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে শ্বশুরবাড়ির সামনেই ধরনায় বসলেন এক গৃহবধূ। শেষপর্যন্ত অবশ্য পুলিশ গিয়ে ধরনা তুলে দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বাউল মল্লিকপুরে। এদিকে রেজিস্ট্রি বিয়ের কথা বেমালুম অস্বীকার করেছেন ওই যুবতীর স্বামী। ভয়ে পালিয়েছেন তিনি।
বছর আটেকের প্রেম। ২০১৩ সালে রেজিস্ট্রি করে প্রেমিক রাকেশ কুমার বকসিকে বিয়েও করেছিলেন তিনি। যিনি ধরনায় বসেছিলেন, তাঁর অন্তত তেমনই দাবি। ওই যুবতীর বক্তব্য, ২০১৫ সাল পর্যন্ত স্বামীর সঙ্গে বালুরঘাট শহরের মল্লিকপুর এলাকায় শ্বশুরবাড়িতেই ছিলেন তিনি। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই টাকা ও গয়নার দাবিতে তাঁর উপর রীতমতো অত্যাচার চালাতেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। শেষপর্যন্ত শ্বশুরবাড়ি থেকে ওই গৃহবধূকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে ফের বাপের বাড়িতে ফিরতে আসতে হয় ওই যুবতীকে। কিন্তু এখন আর মেয়েকে বাড়ি থেকে দিতে রাজি নন ওই যুবতীর বাপের লোকেরাও! বাধ্য হয়ে মঙ্গলবার সকালে বালুরঘাটের বাউল মল্লিকপুরে শ্বশুরবাড়ির সামনেই ধরনায় বসেন ওই গৃহবধূ। সাফ জানিয়েছিলেন, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মেনে না নেওয়া পর্যন্ত ধরনা চালিয়ে যাবেন। কিন্তু রাতে পুলিশ গিয়ে ধরনা তুলে দেয় বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে মেনে নেওয়া তো দূর, ওই যুবতীর সঙ্গে ছেলের বিয়ে হয়েছিল, তা মানতেই নারাজ ওই যুবতীর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তাঁদের পালটা দাবি, জাতিগত শংসাপত্রে সই করানোর নামে বাড়ির ছেলেকে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে নিয়েছেন অভিযোগকারী। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। এদিকে এই ঘটনার পর থেকে পলাতক ওই যুবতীর স্বামী রাকেশ কুমার বকসি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.