ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নৃশংস! পরকীয়া সম্পর্কে (Extra marrital affair) পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল দুই পুত্র। তাদের সরিয়ে ফেলতে একেবারে সুপারি কিলার দিয়ে খুনের অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে! আর এই অভিযোগ ঘিরে রবিবার দিনভর ধুন্ধুমার পরিস্থিতি হুগলির (Hooghly) গোঘাটে। দুই ছেলেকে খুনের অভিযোগে গণপ্রহারের মুখে ওই মহিলা। যদিও খুন কিংবা গণপিটুনি – কোনও ঘটনাতেই এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। আর তা ঘিরে বিক্ষোভ আরও দানা বাঁধছে সামন্তখণ্ড এলাকায়।
ঘটনা রবিবারের। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই দিন সকালে সামন্তখণ্ড এলাকার এক মহিলার বাড়ির সামনে তার এক ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। প্রতিবেশীদের চোখে পড়ামাত্র তাঁরা মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন, তাঁর আরেক ছেলেও মারা গিয়েছে। খোঁজখবর করে দেখা যায়, বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে আরেক ছেলের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। এরপরই প্রতিবেশীরা অভিযোগ করেন, ওই মহিলা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত। আর পথের কাঁটা সরাতে রীতিমতো পরিকল্পনা করে দুই ছেলেকে খুন (Murder) করিয়েছে। এক্ষেত্রে সুপারি কিলারকেও ব্যবহার করা হয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ তোলেন।
আর তারপর মহিলাকে শাস্তি দিয়ে আইন নিজেদের হাতেই তুলে নেন প্রতিবেশীরা। মহিলারা একত্রে জোট বেঁধে ‘খুনি’কে ঘর থেকে টেনে বের করে বেদম প্রহার করে। দিনভর এ নিয়ে উত্তপ্ত ছিল সামন্তখণ্ড এলাকা। এক বাসিন্দার বক্তব্য, প্রহৃত মহিলার অনেকদিন ধরেই একটা সম্পর্ক ছিল। সেটা বেশি কেউ জানত না। তবে এই ঘটনার পর গোটা গ্রাম ব্যাপারটা জেনে যায়। আর তাতেই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন প্রতিবেশীরা। পরকীয়া সম্পর্কের জন্য নিজের ছেলেদের খুনের বিষয়টি কেউ মেনে নিতে পারেনি। তাই মহিলাকে ধরে গণপিটুনি (Lynching) দেওয়া হয়েছে বলে দাবি তাঁর।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলে খবর। উঠছে হাজারও প্রশ্ন। ছেলেদের হত্যার পরিকল্পনায় মহিলার সঙ্গে কি প্রেমিকও জড়িত ছিল? সুপারি কিলার নাকি প্রেমিককে দিয়েই হত্যা করানো হয়েছে দুই পুত্রকে? এই মুহূর্তে মহিলার প্রেমিকই বা কোথায়? এসবের তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পাশাপাশি, গণপ্রহারে কারা কারা জড়িত, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাশ হওয়া আউন অনুযায়ী, গণপ্রহার শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.