জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: আমফানে ক্ষতিপূরণের টাকা না পেয়ে পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ির সামনে ঝাঁটা, জুতো নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। মারধর করা হল অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলেকেও। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ থানার ধর্মপুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শুকপুকুরিয়া গ্রামে। মহিলাদের টানা বিক্ষোভের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।
অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যের নাম গোপাল দে। শুকপুকুরিয়া বাসিন্দাদের অভিযোগ, আমফানে ক্ষতিপূরণের তালিকায় একই পরিবারের দু’জনের নাম আছে, তাঁরা ক্ষতিপূরণও পেয়েছে। অথচ এলাকার অনেকেপূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির লোকেরা ক্ষতিপূরণের টাকা পায়নি। এদিন বিকেলে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গ্রামের মহিলারা ঝাঁটা, জুতো নিয়ে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। পঞ্চায়েত সদস্য গোপাল দে সেসময় বাড়ি ছিলেন না। তাঁর স্ত্রী বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছেলে উত্তম এসে সেই কথার মধ্যে বাধা দেওয়ায় বিক্ষুব্ধ জনতা তাঁকেই মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ।
বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, “উত্তম তাঁর মাকে মারধর করছিল, তাই তাকে মারধর করা হয়েছে।” দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে গোপাল দে। তিনি বলেন “আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন৷ দুর্নীতি করেছি কেউ প্রমাণ দেখাক। বাসিন্দারা আমার ছেলেকে মারধর করেছে৷” স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এলাকার কিছু বিজেপি কর্মী বাসিন্দাদের ভুল বুঝিয়ে গ্রামে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। স্থানীয় বিজেপি নেতা গৌড় চক্রবর্তী বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের টাকা নিয়ে দুর্নীতির কারণে এলাকার মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটল।”
শুধু বনগাঁতেই নয়, আমফান বিধ্বস্ত বিভিন্ন এলাকাতেই সরকারি তরফে দেওয়া আর্থিক সাহায্য ঠিকমতো না পেয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন দুর্গতরা। সর্বত্রই অভিযোগ উঠছে ত্রাণের টাকা নিয়ে দুর্নীতির। তাতে কাঠগড়ায় সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যরাই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.