সৌরভ মাজি, বর্ধমান: লকডাউনে কাজ না মেলায় রুজিতে টান পড়েছে শ্রমিকদের। রোজগার বন্ধ থাকায় ইটভাটা, বালি খাদানের শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতে মরিয়া উঠেছেন। এই পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের স্বার্থে পূর্ব বর্ধমান জেলার সব বালি খাদান চালু করে দিচ্ছে প্রশাসন। একইসঙ্গে ইটভাটাও যাতে সচল রাখা যায় তারও প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে লকডাউন ও করোনা সংক্রান্ত সব ধরণের নিয়ম মেনেই শুরু হবে কাজ। তবে এই সিদ্ধান্তে অনেক মানুষের রোজগার বাড়বে বলে আশাবাদী প্রশাসন।
জেলাশাসক বিজয় ভারতী সোমবার জানান, গলসি-১ ব্লকের ৮টি ও কালনার ২টি বাদে বাকি সব বালি খাদান চালু করা হয়ে গিয়েছে। এই ১০টি বালি খাদানও দুই-একদিনের মধ্যে চালু হয়ে যাবে। গলসি-১ ব্লকের শিকারপুরে ৩১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু ঘটে। বালির লরি চাপা পড়ে মারা যান তাঁরা। এরপরই এলাকার ৮টি বালিখাদান বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। কালনাতেও সংঘর্ষে ঘটনার পর বন্ধ রাখা হয়েছিল ২টি বালিখাদান। জেলা শাসক এদিন জানিয়েছেন, এই ১০টি খাদানও চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। তবে প্রশাসনের বিধিনিষেধ মেনেই তা চালু করতে হবে।
জেলাশাসক আরও বলেন, “বালি তুলে কোনওভাবেই মজুত করে রাখা যাবে না। শুধুমাত্র অনুমোদিত নির্মাণস্থলেই বালি পৌঁছতে হবে।” জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সব শ্রমিক এই পরিস্থিতিতে কাজ করবেন তাঁদের তালিকা স্থানীয় থানায় জমা রাখতে হবে। কনটেনমেন্ট জোন থেকে কোনও কর্মী আনা চলবে না। জেলার বাইরেও কোনওভাবে বালি পাঠানো যাবে না। শ্রমিক-কর্মীদের স্যানিটাইজার, মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.