সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যত্রতত্র ভিআইপি সংস্কৃতি ঘোচাতে নিয়ম লাগু করেছিল কেন্দ্র। বলা হয়েছিল রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি, দেশের প্রধান বিচারপতি ও লোকসভার স্পিকারে মতো ব্যক্তিত্বরা ছাড়া আরও কারও লালবাতির গাড়ি চড়ার অধিকার থাকবে না। এমনকী প্রধানমন্ত্রীরও না। চলতি মাস থেকেই চালু হয়েছিল এই নিয়ম। কিন্তু কেন্দ্রের সে নিয়মের তোয়াক্কা না করেই গাড়ির মাথায় দিব্যি লালবাতি লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম বরকতি। এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে তাঁর সাফ জবাব, ব্রিটিশ সরকার থেকে এই অনুমোদন মিলেছে, কেন্দ্র সরকার তা বাতিল করতে পারে না।
[মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, কুলভূষণের ফাঁসিতে স্থগিতাদেশ বিশ্ব আদালতের]
টিপু সুলতান মসজিদের শাহি ইমামের বক্তব্য, তিনি লালবাতি সরিয়ে দিতে পারেন যদি সবাই তা করে। ব্রিটিশ সরকারের আমল থেকে এই নিয়ম চলে আসছে। কেন্দ্রীয় সরকারের লালবাতি বন্ধ করার কোনও এক্তিয়ারই নেই। ভারত সরকারের আগে নিজস্ব আইন তৈরি করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। মন্ত্রীরা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিক্ষা করেন। তাই তাঁদের লালবাতির গাড়ির চড়া অনুচিত বলে মনে করেন তিনি। তাঁর দাবি, শাহি ইমাম হিসেবে সিপিএম জমানা থেকেই লালবাতি ব্যবহার করতেন তিনি। বর্তমান সরকারের আমলেও তা বজায় আছে ।
[এবার হোম ডেলিভারিতেই মিলবে ট্রেনের টিকিট, দাম মেটানো নগদেই]
বুধবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেন, অনেকদিন ধরেই এই সমস্ত মন্তব্য করে চলেছেন এই বরকতি নামক ‘ভদ্রলোক’। চালিয়ে যাচ্ছেন উসকানিমূলক কথাবার্তা। এটা উপর মহলের প্রশ্রয় ছাড়া হতে পারে না। আর মুখ্যমন্ত্রীর নাম তিনি নিজেই উচ্চারণ করেছেন। এটা শুধু বেআইনিই নয়, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণের রাজনীতির চিত্র তুলে ধরে। ভোটে জেতার জন্যই নাকি এমনটা করছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্রয়েই বাংলার অরাজকতা চলছে বলে অভিযোগ করেন বাবুল।
[জানেন, কেন রানি ‘শিবগামী’র মানভঞ্জনে ব্যস্ত রাজা ‘কাটাপ্পা’?]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.