দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: মহিলাদের শরীর এবং রক্ত দেখে পৈশাচিক আনন্দ পেত এক বিকৃতকাম যুবক। তাই, তাঁদের পোশাক চিরে দিয়ে শরীর আর রক্ত দেখার জন্য লোলুপ দৃষ্টিতে চেয়ে থাকত সে। সেই বিকৃতকাম যুবকের লালসার শিকার শ্রীরামপুরের দুই যুবতী। শুক্রবার শ্রীরামপুর ষ্টেশনে নিত্যযাত্রীর ভিড়ে বিকৃতকাম ওই যুবক দুই যুবতীর লেগিংসে ব্লেড চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। যুবতীদের চিৎকারে শ্রীরামপুর ষ্টেশনে কর্মরত রেল পুলিশের আধিকারিক ধাওয়া করে ওই যুবককে ধরে ফেলে।
পরে জিআরপির জেরায় ওই যুবক নিজের বিকৃতকামের কথা স্বীকার করে নেয়। শেওড়াফুলি জিআরপি ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। রেল পুলিশ সূত্রে খবর, যুবকের নাম সমীর জানা। বাড়ি হুগলির চুঁচুড়ায়। পুলিশি জেরায় সমীর জানিয়েছে, এর আগেও এই ধরনের বিকৃত কামনার বশবর্তী হয়ে ভিড়ের মাঝে মহিলাদের অসতর্ক মূহুর্তে ব্লেড দিয়ে আক্রমণ চালিয়েছে সে। বিশেষত, মহিলাদের লেগিংসের উপর ব্লেড চালাত সমীর। ব্লেডের আঘাতে অনেক সময়ই লেগিংস ছিঁড়ে গিয়ে রক্তপাত হয়। মহিলারা লজ্জায় সে কথা প্রকাশ্যে আনতে পারে না। আর মহিলাদের শরীরের রক্ত দেখে উল্লাসে ফেটে পড়ে সমীর। ওই যুবকের কীর্তি দেখে রীতিমতো বিস্মিত রেল পুলিশের আধিকারিকরা।
এ বিষয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ মোহিত রণদীপকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, “ওই যুবকের এই ধরনের আচরণের মধ্যে অবসেশনের একটা উপাদান আছে। এটা এক ধরনের বাতিক হতে পারে। এই ধরনের বাতিকগ্রস্তরা যে কোনও কাজ বার বার করতে চায়। অনেক সময় এই ধরনের কাজ করতে না চাইলেও, ইচ্ছার বিরুদ্ধে এই আচরণ করে বসে তারা। ওই যুবক যে নেহাতই মজা বা আনন্দ করার জন্যই মহিলাদের পোশাকে ব্লেড চালিয়ে রক্তাক্ত করছে, তা নাও হতে পারে। যুবকের দীর্ঘ সাইকো-অ্যানালিসিসের পরই এই ধরনের আচরণের প্রকৃত কারণ জানা যাবে। মোহিত রণদীপ বলেন, এটা আসলে এক ধরনের মানসিক অসুস্থতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.