শাহজাদ হোসেন, জঙ্গিপুর: দাদা এবং ভাইয়ের সঙ্গে বচসা লেগেই থাকত। পরিবারের একমাত্র পুত্রবধূর দাবি, দেওরকে অশান্তি তৈরি করতে ইন্ধন জোগাত শাশুড়ি। তাই বড় ছেলে এবং তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে শাশুড়ি, দেওর সকলেরই সম্পর্কের অবনতি হচ্ছিল। অবশেষে সেই অশান্তিরই মর্মান্তিক পরিণতি হল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ধূলিয়ান পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তারবাগানের কামাত গ্রামে। এলোপাথাড়ি ছুরির ঘায়ে অন্তঃসত্ত্বা বউদিকে খুন করল দেওর। ঘটনার পর থেকেই এলাকাছাড়া অভিযুক্ত। শুধুমাত্র পারিবারিক বিবাদের জেরে খুন নাকি নেপথ্য রয়েছে অন্য কিছু, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বছর চারেক আগেই রিমা খাতুনের সঙ্গে কামাত এলাকার রাহুল শেখ নামে এক যুবকের বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই রাহুল মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরত। তা নিয়ে পারিবারিক বিবাদ লেগেই ছিল। তবে তারই মাঝে দিব্যি সংসার চলছিল। রাহুল ও রিমার একটি পুএসন্তান রয়েছে। বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রিমা। তবে বর্তমানে শাশুড়ি এবং দেওরের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হচ্ছিল তাঁর। তার ফলে দেখা দিচ্ছিল দাম্পত্য অশান্তি। একাধিকবার সব মিটমাট করার জন্য বসে সালিশি সভা। তবে তাতে লাভ হয়নি বিশেষ। বরং অশান্তি আরও বাড়তে থাকে। মা ও ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমশই তলানিতে ঢেকতে থাকে রাহুলের।
রবিবার সন্ধেয় মা এবং ভাইয়ের সঙ্গে ফের কথা কাটাকাটি শুরু হয় রাহুলের। রাতে ঝগড়াঝাটির পর খাওয়াদাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ে রাহুল এবং তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও সন্তান। সোমবার সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আচমকাই অন্তঃসত্ত্বা বউদির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তার দেওর রুবেল। এলোপাথাড়ি ছুরি দিয়ে আঘাত করতে থাকে রিমাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গৃহবধূ। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে প্রতিবেশীরা জমায়েত হওয়ার আগেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় রুবেল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত রুবেল শেখের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.