দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: সুন্দরবন টুরিস্ট লজে যুবকের রহস্যমৃত্যু। দেহ উদ্ধারের সময় গলায় বিছানার চাদরের ফাঁস ছিল। এই ঘটনার পর থেকে পলাতক ওই যুবকের সঙ্গিনী। ক্যানিং থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
স্থানীয়দের দাবি, সুন্দরবন টুরিস্ট লজে দেহব্যবসা চলে। পরিচয়পত্র ছাড়াই যুবক-যুবতীদের লজে থাকতে দেওয়া হত। ঠিক সেভাবেই রাকেশ মণ্ডল নামে ওই যুবক লজের একটি ঘর ভাড়া নেন। বারুইপুরের বাসিন্দা ওই যুবকের সঙ্গে ছিলেন এক মহিলাও। হোটেলের রেজিস্ট্রারে ছেলেটি নাম, ঠিকানা লিখেছেন। তবে মহিলা তাঁর ঠিকানা দেননি।
হোটেলের ঘর দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় কর্মীদের। তাঁরা দরজা ধাক্কা দিলেও কেউ খোলেননি। ক্যানিং থানায় খবর দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। বিছানার উপর গলায় বিছানার চাদরের ফাঁস লাগানো অবস্থায় যুবককে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুবকের দেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তে পাঠানো হয় দেহটি।
এই ঘটনার পর থেকে পলাতক যুবকের সঙ্গিনী। ঘটনার পর থেকে যুবতী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় রহস্য দানা বেঁধেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সুন্দরবনের বিভিন্ন হোটেলে দেদার চলছে দেহব্যবসা। আর এখানে ভিড় জমান মহিলা ও পুরুষরা। ওই যুবকও সেই উদ্দেশেই লজ ভাড়া নিয়েছিল বলেই দাবি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.