Advertisement
Advertisement
Alipurduar

যুদ্ধ আবহে গাছে উঠে হাসিমারা সেনাছাউনিতে উঁকিঝুঁকি! গ্রেপ্তার ‘রহস্যময়’ যুবক

ছেলের এহেন আচরণ ও গ্রেপ্তারিতে আলিপুরদুয়ারের ঘাগরার পরিবার চিন্তিত।

Youth arrested in Alipurduar allegedly snooping into Hasimara IAF base
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 8, 2025 4:54 pm
  • Updated:May 8, 2025 4:57 pm  

রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানে ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুর। পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও সীমান্ত এলাকার একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল এই প্রতি হামলা। পালটা পাকিস্তানও পাঞ্জাবের দিকে হামলা চালিয়েছে। দু’দেশের মধ্যে ভরপুর যুদ্ধ যুদ্ধ আবহ। এমন পরিস্থিতিতে উত্তর ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সেনা ঘাঁটি আলিপুরদুয়ারের হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানেই রহস্যজনকভাবে উঁকিঝুঁকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল এক যুবককে। অভিযোগ, বিশাল ঘেরাটোপে থাকা বায়ুসেনা ছাউনিতে নজরদারির জন্য গাছে উঠেছিলেন ২২ বছরের ওই যুবক। কিন্তু কী কারণে তাঁর এই আচরণ, তা অজ্ঞাত। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

গ্রেপ্তার যুবক সুজিত ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।

দেশের উত্তর-পূর্বের সীমান্ত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সুরক্ষার জন্য হাসিমারায় রয়েছে বায়ুসেনার ঘাঁটি। সেখানে রাফালের মতো অতি শক্তিশালী যুদ্ধবিমান ছিল এতদিন। কিন্তু পহেলগাঁও হামলার পরই প্রত্যাঘাতের প্রস্তুতি হিসেবে রাফালে বিমানটি হাসিমারা সেনাছাউনি থেকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দেশের পশ্চিম প্রান্তে। হাসিমারায় এখন নিয়মিত মহড়া চালাচ্ছে বায়ুসেনা। বহু গুণ বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে আচমকাই নজরে পড়ে, এক যুবক গাছে উঠে সেনাছাউনিতে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। তাঁর গতিবিধি বেশ রহস্যজনক। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আটক করে নিয়ে আসা হয় হাসিমারা সেনাছাউনিতে। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।

Advertisement
ছেলের গ্রেপ্তারিতে আলিপুরদুয়ারের ঘাগরার পরিবার চিন্তিত। নিজস্ব ছবি।

জানা যাচ্ছে, ওই যুবকের নাম সুজিত ঘোষ ওরফে বাঁটুল। বছর ২২ বছর। আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া ঘাগরার বাসিন্দা। সেনার তরফে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর হাসিমারা পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ সুজিতকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বাবা জ্ঞানেন্দ্র ঘোষ জানাচ্ছেন, ছেলে নিমতি এলাকার একটি দোকানে কাজ করে। আজও দোকানেই গিয়েছিল। সেখান থেকে সেনাছাউনিতে চলে যায়। কিন্তু এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলেই সেনার কাছে দাবি করেন। কিন্তু আলিপুরদুয়ার থেকে কেন ওই যুবক হাসিমারা গেলেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, ”ধৃতকে আমরা হেফাজতে নিয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করে সব জানার চেষ্টা করছি।” যুদ্ধ আবহে আলিপুরদুয়ারের এই যুবকের আচরণ যথেষ্ট সন্দেহজনক বলে মনে করা হচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement